ISL- ৯জন খেলেও মহমেডানকে রুখল ইস্টবেঙ্গল! জোড়া লালকার্ড কি যুক্তিসংগত? নাকি এড়াতে পারতেন রেফারি!

Updated: 09 Nov 2024, 10:29 PM IST Moinak Mitra

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ জনে খেলেই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটেই জোড়া লালকার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গল। ফলে প্রায় ১ ঘন্টা তাঁদের খেলতে হয় ৯জনে। ফলে মহমেডান দল পেয়ে গেছিল নিউমেরিক্যাল সুপ্রিমেসি। কিন্তু লালহলুদ ফুটবলারদের অদম্য লড়াইতে মন জিতে নেয়

1/6মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ জনে খেলেই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটেই জোড়া লালকার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গল। ফলে প্রায় ১ ঘন্টা তাঁদের খেলতে হয় ৯জনে। ফলে মহমেডান দল পেয়ে গেছিল নিউমেরিক্যাল সুপ্রিমেসি। কিন্তু লালহলুদ ফুটবলারদের অদম্য লড়াইতে সুবিধা তুলতে পারেনি সাদা কালো শিবির। ছবি- ইস্টবেঙ্গল

2/6ম্যাচের ৭ মিনিটেই প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন লালহলুদের মিডফিল্ডার মহেশ। অযথা তিনি ফ্র্যাঙ্কাকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন। এরপর তিনি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। ফলে তাঁকে আরও সতর্ক হয়েই খেলতে হত। কিন্তু ম্যাচের ২৯ মিনিট নাগাদ নন্দকুমার শেখরের সঙ্গে অমরজিত সিং কিয়ামের লড়াই হয়, যেখানে হাত চালান নন্দকুমার। সেই ঝামেলার জেরে মাথা গরম করে ফেলেন মহেশ। ছবি- ইস্টবেঙ্গল

3/6নন্দকুমার শেখর আক্রমণে উঠেছিলেন ম্যাচের ২৯ মিনিটে। তখনই তাঁকে আটকানোর জন্য অমরজিত সিং কিয়াম জড়িয়ে ধরেন। কার্যত নিজের শরীর কাজে লাগিয়ে নন্দকুমারকে আটকান। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে নন্দকুমার সপাটে হাত চালান অমরজিতের মুখে। কনুইয়ের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অমরজিত। তা দেখেই নন্দকুমার শেখরকে লালকার্ড দেন রেফারি হরিশ কুণ্ডু। ছবি- ইস্টবেঙ্গল

4/6লালহলুদের উইংগার নন্দকুমারকে লালকার্ড দেখানো হওয়ায় তাঁর প্রতিবাদ করছিলেন বাকি ফুটবলাররা। তখন সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন মহেশও। কিন্তু রেফারি হরিশ কুণ্ডু তাতে কর্ণপাত না করে লালকার্ড দেখান নন্দকুমারকে। তাতেই মহেশ বিরক্তি বোধ করেন। মাথা গরম করে মাঠের ভিতরে থাকা জলের বোতলে লাথি মারেন ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার। রেফারির সিদ্ধান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেখে রেফারি গিয়ে তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন। ছবি- ইস্টবেঙ্গল

5/6যদি বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে, দুটি লালকার্ডই ন্যয্য। কারণ ফিফার আইন অনুযায়ী অমরজিত সিং কিয়াম নিজের অবৈধ ফাউলের জন্য যেমন হলুদ কার্ড দেখতেন। তেমনই সরাসরি মুখে কনুই মারায় নন্দকুমার শেখরের লালকার্ড প্রাপ্র্য ছিল। এদিকে মহেশও যেহেতু মাঠের ভিতরেই রেফারির অ্যাকশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বোতলে লাথি মারেন, তাই তারও হলুদ কার্ড প্রাপ্য ছিল। তবে এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। ছবি- আইএসএল

6/6প্রথম বিষয় হল, রেফারি হরিশ কুণ্ডুর যেমন বোঝা উচিত কলকাতার ডার্বি ম্যাচ আইএসএলের বাকি ম্যাচের মতো হয়না। ফলে নরমে গরমেই ম্যাচ পরিচালনা করতে হয়। মহেশকে সতর্ক করেও ছেড়ে দিতে পারতেন। কারণ ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের জেরে অশান্তি ছড়াতে পারত গ্যালারিতে। আর দ্বিতীয়ত. নন্দকুমার এবং মহেশের মতো জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদেরও বড় ম্যাচের টেম্পারমেন্ট বুঝতে হবে। সঙ্গে সাপোর্টার্স বেসড ক্লাবে খেলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। রাগের ক্ষেত্রে নিজেদের ধৈর্য বাড়াতে হবে। ছবি- পিটিআই

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

ISL- ৯জন খেলেও মহমেডানকে রুখল ইস্টবেঙ্গল! জোড়া লালকার্ড কি যুক্তিসংগত? নাকি এড়াতে পারতেন রেফারি!

Latest News

Women World Cup 2024 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি