আায়ারল্যান্ডের মুখ থেকে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ। সেটাও আবার শেষ বলে। চেমসফোর্ডে আরেকটি অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নাটকীয় এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। যে ম্যাচে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, সে ম্যাচে ৪ রানের জিতে শেষ হাসি হেসেছে তামিম ইকবালের দল। ম্যাচটা প্রায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। তবে ডেথ ওভারে ম꧃ুস্তাফিজুর꧙ রহমান ও হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ ওভারে ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা।
আরও পড়ুন… ধোনির অটোগ্রাফ নিলেন সুনীল গাভাসক🎃র, চিপকে ম্যাচ হেরেও দর্শকদ💯ের মন জিতলেন মাহি
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে আইরিশদের সামনে ম্যাচ জেতার জন্য লক্ষ্য ছিল ২৭৫ রান। ৪১ ওভার শেষে ৩ উইকেটেই ২২৩ রান তুলে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫৪ বলে দরকার ৫২, তাদের তখনও হাতে ছিল ৭টি উইকেট। বাংলাদেশের সামনে তখন ছিল নিশ্চিত হার। এমন সময়ে বাজি ধরেন তামিম ইকবাল। টাইগার অধিনায়ক আক্রমণে আনেন স্প𓃲িনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। শান্ত নিজের প্রথম ওভারেই সফল হন, উইকেট এনে দিয়ে অধিনায়ককে ঠেক প্রমাণ করেন ও দলকে আসার আলো দেখান। সেট ব্যাটার হ্যারি ✅টেক্টরকে (৪৮ বলে ৪৫) আউট করেন তিনি। এরপরই পাল্টে যায় ম্যাচের চরিত্র।
আরও পড়ুন… ইমরানের গ্রেফতারির পরে 𓂃অশান্ত পাকিস্তানে রাজকীয় আতিথেয়তা পেল ভারতের ব্রিজ দল
রবিবার (১৪ মে) চেমসফোর্ডে বাংলাদেশের করা ২৭৪ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ২২৫ থেকে ২৭০ রানে থেমেছে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। এই সময়ে তারা ৯ উইকেট হ♌ারিয়ে ফেলেছিল। বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোয় বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহিম। ১০ ওভার ব🌳ল করে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর ফলে তিনি পেয়েছেন এদিনের ম্যাচসেরার পুরষ্কার। মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তাদের একটা সময়ে ১২ বলে দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৪ রান দিলে উত্তেজনা বাড়ে। শেষ ওভারে ১০ রান করলেই জিতে যেত আয়ারল্যান্ড। সেই সময়ে হাসান মাহমুদ প্রথম বলে বোল্ড করেন মার্ক অ্যাডায়ারকে। তৃতীয় বলে মৃত্যুঞ্জয়কে ক্যাচ দিয়ে বসেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। শেষ তিন বলে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৯ উইকেটে ২৭০ রানে থেমে যায় এদিনের আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের একক নায়ক খুঁজে বের করা মুশকিল। মূলত সম্মিলিত প্রဣচেষ্টার ফল পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ব্যাট হাতে ৮২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন তামিম। তবে মুশফিকুর রহিম ৫৪ বলে ৪৫, শান্তর ৩২ বলে ৩৫, লিটন দাসের ৩৯ বলে ৩৫, মিরাজের ৩৯ বলে ৩৭ রানের অবদান রয়েছে। বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর ৪ উ♋ইকেট নিলেও হাসান, ইবাদত, মিরাজরা বড় ভূমিকা পালন করেন।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- //pbv88casino.cc/sports/ipl)
এদিকে ২৭৫ রান তাড়ায় করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ম্যাচ জিততে যখন শেষ ৮ ওভারে কেবল ৪৯ রান চাই আইরিশদের। তখন প্রথম দুই ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকা মুস্তাফিজুর দারুণ স্পেল করেন। পর পর দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দিলেন ক্যাম্ফার আর ডকরলকে। ক্যাম্ফার একদম অপ্রয়োজনীয় বাজে শট খেলে আউট হন। অন্যদিকে ডকরলেন জায়গা বানিয়ে মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ৩ উইকেটে ২২৫ থেকে ২৩৬ রানে যেতে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাচে তখন দারুণ ভাবেই ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর তার শেষ ওভারে তুলে নেন আয়ারল্যান্ডের শেষ ভরসা টাকারকেও। ৫৩ বলে ৫০ রান করা টাকার স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ডও হন। শেষ দিকে অ্যাডায়ার ছোট্ট ঝড়ে তামিমদের বুকে ভয় ধরালেও কাজটা সারতে পারেননি আয়ারল্যান্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।