শুভব্রত মুখার্জি: 🦂শেষ ৪-৫ বছরে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং শক্তিশালী হওয়ার ফলে সাম্প্রতিক কালে বিদেশের মাটিতে ভারত একাধিক সাফল্যের মুখ দেখেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু'বার ভারত তাদের মাটিতেই সিরিজ জিতেছে। ইংল্যান্ডের মাটিতেও তারা টেস্ট সিরিজে এগিয়ে ছিল। যদিও করোনার কারণে শেষ টেস্ট খেলা সম্ভব হয়নি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তারা উঠেছিল। ২০২১ সালের শেষেও তারা সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জিতে সিরিজে আপাতত ১-০ ফলে এগিয়ে। ভারতের এই সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে দলের পেসারদের। এমনটাই মত প্𒀰রাক্তন ভারতীয় পেসার আশিস নেহরার।
সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দুরন্ত বল করেছেন মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুররা। মহম্মদ শামি প্রথম ইনিংসে পাঁচটি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উই🐼কেট নেন। বুমরাহও চতুর্থ দিনের শেষে অসাধারণ বোলিং করেন। ভারতীয় পেসারদের এই পারফরম্যান্সে রীতমতো উচ্ছ্বসিত আশিস নেহরা। একটা গোটা দিন বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার পরেও, যে ভাবে বোলাররা ভারতকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিতে সক্ষম হয়েছেন, তাতে বেজায় খুশি নেহরা।
নেহরা বলেছেন, ‘আমি পেসারদের পারফরম্যান্স দেখে খুব খꦛুশি। আগে আইপিএল ছিল না। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট হত সেই সময়। বেশ কিছু সময়ের ব্যবধানে সেই ম্যাচগুলো হত। একজন ক্রিকেটারের হাতে খুব কম ম্যাচ থাকত। আইপিএল ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে। দলে সিনিয়র ইশান্ত, উমেশ, ভুবনেশ্বর কুমারের মতোন পেসারদের পাশাপাশি রয়েছেন জুনিয়র পেসাররাও। ভারতের হাতে এখন একাধিক পেস বোলিং অপশন রয়েছে। যা ভারতীয় ক্রিকেটের এই উন্নততর পারফরম্যান্সের অন্যতম কারণ। পেস বোলিং শারীরিক ভাবে খুব প্রভাব ফেলে। অতীতে ভারতের হাতে এই অপশন খুব কম ছিল। ভারতের হাতে এই মুহূর্তে পরিবর্ত হিসেবে এমন বোলার রয়েছে যারা ৫০-১০০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদেরও পরিবর্ত হিসেবে খেলতে পারে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।