১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাই - ভ💮ারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে সম্ভবত ‘উত্তেজনার’ দিন। ২৫ বছর আগে রবিবাসরীয় ডার্বি ঘিরে যে পরিমাণ ‘হাইপ’ তৈরি হয়েছিল, তা সম্ভবত প্রথমবার দেখে🍎ছিল ভারতীয় ফুটবল। সেই ‘হাইপ’ নিরাশও করেনি।
সেদিন ১৩১,০০০ দর্শকের সামনে এমন একটি ম্যাচ খেলা হয়েছিল, যা শুধু কলকাতা ডার্বি নয়, ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে ঠাঁই পেয়ে গিয়েছে। সেই ম্যাচ যেমন দুই তুখোড় কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই দেখেছিল, অপ্রতিরোধ্য ‘ডায়মন্ড’ ফর্মেশনের দর্পপূর্ণ হতে দেখেছিল, তেমনই দেখেছিল এক তরুণের উত্থান। যিনি পরবর্তীকালে ভারতীয় ফ𒐪ুটবলের মুখ হয়ে ওঠেন। সেই ম্যাচের কয়েকটি তথ্য দেখে নিন -
- ১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাইয়ের সেই স্মরণীয় ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ অমল দত্ত এবং ইস্টবেঙ্গল কোচ পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাকযুদ্ধ চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আবহ।
- যুদ্ধংদেহী আবহের মধ্যে যুবভারতী স্টেডিয়ামে ১৩১,০০০ দর্শক ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন। যা এখনও পর্যন্ত ভারতের যে কোনও খেলার নিরিখে রেকর্ড।
- সেই ম্যাচের আগে ডায়মন্ড ফর্মেশনে (৩-২-৩-২ ফর্মেশন অর্থাৎ একইসঙ্গে সাত-আটজন আক্রমণে) অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছিল অমল দত্তের বাগান। ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে চার্চিল ব্রাদার্সকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে ভাইচুং ভুটিয়াকে 'চুংচুং', সোসোকে ‘শশা’ এবং স্যামুয়েল ওমোলোকে 'ওমলেট' বলে কটাক্ষ করেছিলেন অমল দত্ত। তবে সেই স্ট্র্যাটেজি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তেতে গিয়েছিলেন ‘ভোকাল টনিকের রাজা’ পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেরা।
- সেই ম্যাচে দুই সাইডব্যাক বদল করে 'মাস্টারস্ট্রোক' দিয়েছিলেন পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাল্গুনি এবং পাশাকে প্রথম একাদশে রাখেননি। বয়সের কারণে তাঁদের দিক থেকেই আক্রমণ উঠে আসতে পারে আন্দাজ করে অমিতাভ এবং দুলালকে নামিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কল্যাণ চৌবের পরিবর্তে দীর্ঘদেহী গোলকিপার অ্যাজেন্ডাকে রেখেছিলেন। বার্তাটা স্পষ্ট ছিল, চিমাকে এত সহজে ছাড়ছেন না।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডাক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ফুটবলার পিকে🎀, কেন জানেন?
- সেই ম্যাচে মোহনবাগানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যে ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত কেউ পাত্তাও দেয়নি। হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাইচুং। সেইসঙ্গে কলকাতা ডার্বির ইতিহাসে চিরকালের মতো নাম তুলে ফেলেন। ইস্টবেঙ্গলের অপর গোল করেছিলেন নাজিমুল হক। অন্যদিকে, অমল দত্তের 'স্টার' চিমাকে রুখে দিয়েছিলেন ওমোলো। তাঁকে ফিক্সড মার্কার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। মুসা পালা করে চিমা এবং খালেককে আটকে দেন। তবে মোহনবাগানের একমাত্র গোলটি করেছিলেন চিমা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।