EPL 2023-24 Points Table

বিশ্বের যে কোনও ফুটবল লিগের মতো প্রিমিয়র লিগের পয়েন্ট তালিকা নিয়ে পুরো মরশুমেই বাড়তি উন্মাদনা থাকে। প্রতিটি ম্যাচের পরে নিজের পছন্দের দল কত নম্বরে আছে, তা জানতে মুখিয়ে থাকেন সকলেই। কেউ দেখতে চান যে তাঁর প্রিয় দল খেতাব ছিনিয়ে নিতে পারবে কিনা। কেউ আবার পয়েন্ট তালিকা দেখে হিসাব করেন যে এবার অবনমন এড়ানো যাবে কিনা। আর প্রিমিয়র লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগের যেহেতু টিকিট পাওয়া যায়, তাই সকলেই পয়েন্ট তালিকা দেখে বুঝে নিতে চান যে তাঁর প্রিয় দল এবার ইউরোপের ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে কিনা। এমনিতে অন্যান্য ফুটবল লিগের মতো জিতলে প্রিমিয়র লিগে তিন পয়েন্ট পাওয়া যায়। ড্র করলে মেলে এক পয়েন্ট। আর হারলে তো কোনও পয়েন্ট পাওয়া যায় না।

সেই ১৯৯২ সাল থেকে প্রিমিয়র লিগ চলে আসছে। ১৯৯৪-৯৫ সাল থেকে ২০টি দল নিয়ে প্রিমিয়র লিগ খেলা হচ্ছে। আর তাতে যথারীতি অবনমন ও প্রমোশনের নিয়ম আছে। প্রিমিয়র লিগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি মরশুমে দলগুলিকে ৩৮টি ম্যাচে খেলতে হয়। ঘরের মাঠে থাকে ১৯টি ম্যাচ। বিপক্ষ দলের মাঠে খেলতে হয় ১৯টি ম্যাচ। ওই ৩৮টি ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকে। তবে শুধু শীর্ষে থাকার জন্য লড়াইটা হয় না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকিট পাওয়া, ইউরোপা লিগে টিকিট পাওয়া, অবনমন না হওয়ার জন্য লড়াই হয়। প্রতি মরশুমের শেষে তিনটি দল নীচের স্তরে নেমে যায়। অর্থাৎ প্রতিটি লিগ মরশুমের শেষে ১৮ তম, ১৯ তম এবং ২০ তম স্থানে যে দলগুলি থাকে, সেই দলগুলি পরবর্তী মরশুমে আর প্রিমিয়র লিগে খেলতে পারে না। ওই তিনটি দল পরবর্তী ডিভিশনে নেমে যায়। আবার তিনটি দল নয়া দল উঠে আসে প্রিমিয়র লিগে। চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ওই তিনটি দল আসে।

অর্থাৎ প্রতি বছর প্রিমিয়র লিগে ২০টি দল একই হয় না। প্রতি বছর দল পরিবর্তন হয়। শুরুতে যে ২২টি দল ছিল, সেগুলি হল - আর্সেনাল, অ্যাস্টন ভিলা, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স, চেলসি, কোভেন্ট্রি সিটি, ক্রিস্টাল প্য𒊎ালেস, এভার্টন, ইপউইচ সিটি, লিডস ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, মিডলসবরো, নরউইচ সিটি, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, ওল্ডহ্যাম অ্যাথলেটিক, কুইন্সপার্ক রেঞ্জার্স, শেফিল্ড ইউনাইটেড, শেফিল্ড, সাউথহ্যাম্পটন, টটেনহ্যাম হটস্পার এবং উইলম্বডন। ২০২৩-২৪ মরশুম পর্যন্ত ছ’টি দল প্রতিটি মরশুমেই খেলেছে। সেগুলি হল - আর্সেনাল, চেলসি, এভার্টন, লি🔥ভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটস্পার।
PosTeamPLWDLGD PTS
PL: Played, W: Won, D: Draw, L: Loss, GD: Goals Difference, PTS: Points
প্রিমিয়র লিগে পয়েন্ট তালিকার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে কোনও দল এক মরশুমে ১০০ পয়েন্ট ছুঁতে পারবে কিনা। প্রিমিয়র লিগের দীর্ঘ ইতিহাসে মাত্র একবারই সেই ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭-১৮ মরশুমে ১০০ পয়েন্টে পৌঁছেছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ২০২২-২৩ মরশুম পর্যন্ত আর কোনও দল সেই নজির গড়তে পারেনি। অর্থাৎ প্রিমিয়র লিগের দীর্ঘ ইতিহাসে মাত্র একবারই কোনও মরশুমে একবারই কোনও দল ১০০ পয়েন্ট ছুঁতে পারে। যে মরশুমে ১০৬টি গোল করেছিল সিটি। যা ১৯৯২ সালে প্রিমিয়র লিগ শুরুর পর থেকে কোনও একটি সংস্করণে কোনও দলের সর্বোচ্চ গোল। তবে ইংল্যান্ডের ফুটবলের সর্বোচ্চ ডিভিশনে এক মরশুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আছে অ্যাস্টন ভিলার দখলে। ১৯৩০-৩১ মরশুমে ৪২টি ম্যাচে ১২৮ গোল করেছিল ভিলা।

তবে সেইসব রেকর্ড ছাপিয়ে সব দলই চায় যে প্রিমিয়র লিগের খেতাব হাতে তুলবে। বাস্তব বিবেচনা করে সেটা হয়ত সব দলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু মরশুমের শুরুতে সব দলই একবার হলেও ভাবে যে প্রিমিয়র লিগের খেতাব জিততে হবে। সকলের পক্ষে সেই লক্ষ্যপূরণ হয় না। ১৯টি দল পারে না। একটি দল হাতে খেতাব তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, চেলসির মতো দলগুলির দাপট থাকলেও স্বপ্ন দেখতে ছ🍎াড়ে না তথাকথিত ছোট দলগুলি। আর সেই স্বপ্নও যে সত্যি হতে পারে, তা প্রমাণ করেছে লেস্টার সিটি। ২০১৫-১৬ মরশুমে প্রিমি𝓀য়র লিগ খেতাব জিতেছিল লেস্টার সিটি। যে জয় প্রিমিয়র লিগের চিরকালীন ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। তবে পরবর্তীতে সিটির দাপট শুরু হয়।

FAQ's

প্রিমিয়র লিগে প্রতি বছর কতগুলি দলের অবনমন হয়?

প্রতি বছর প্রিমিয়র লিগ থেকে তিনটি দলের অবনমন হয়। আর তিনটি দল প্রোমোশন হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে ২০টি দল থাকে।

প্রিমিয়র লিগের এক মরশুমে কোন দল ১০০ পয়েন্ট পেয়েছে?

২০২২-২৩ মরশুম পর্যন্ত মাত্র একবার সেই ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭-১৭ মরশুমে সেই কীর্তি স্থাপন করেছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।

প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এক মরশুমে সর্বাধিক গোল করেছে কোন দল?

২০১৭-১৮ মরশুমে সেই নজির গড়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ১০৬টি গোল করেছিল। যা ১৯৯২ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ (২০২২-২৩ পর্যন্ত)।

ইংল্যান্ডের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আছে কোন দলের দখলে?

অ্যাস্টন ভিলা। ৪২টি ম্যাচে ১২৮ গোল করেছিল (১৯৩০-৩১ মরশুম)।