ম্যাচটা ৩৬ মিনিটেই শেষ করে দিয়েছিল ব্রাজিল। কারণ এই ৩৬ মিনিটেই ঝড় তুলে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে নেইমাররা জড়িয়ে দেন ৪ গোল। এর পর এই ম্যাচে দক্ষিণ কꦜোরিয়ার পক্ষღে ফিরে আসা কার্যত অসম্ভব ছিল।
সোমবার মাঝরাতের ম্যাচে বিরতির আগেই কাতার মাতে সাম্বার ছন্দে। ফুরফুরে মেজাজে তালে তাল মেলান 🍎নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন, পাকুয়েতা-রা। ‘জোগো বোনিতো’র সাক্ষী থাকল দোহার স্টেডিয়াম।
এ দিন যেন শুরু থেকেই দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে কার্যত ছেলেখে🦹লা করল ব্রাজিল। কোরিয়ানদের ৪-১ উড়িয়ে হাসতে হাসতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন তিতের ছেলেরা। প্রথম ৩৬ মিনিটেই চার গোল। সোমবার রাতে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর বাকি সব রং যেন বিবর্ণ হল হলুদের ছটায়।
আরও পড়ুন: টা✱ইব্রেকারে ছন্দপতন, সূর্꧒যাস্ত জাপানের, লিভাকোভিচ মান বাঁচালেন ক্রোটদের
ব্রাজিল মানেই তো ফুটবল ঐতি☂হ্যর সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধন। আর সোমবার মাঝরাতে সেই মেলবন্ধনই আরও একবার প্রকট হল। সাম্বা ম্যাজিকে মাতল কাতার। মাতল গোটা বিশ্ব। এ দিন চোট সারিয়ে নেইমার প্রথম একাদশে ফেরার পরেই যেন, পুরো দলের বডিল্যাঙ্গোয়েজই বদলে গিয়েছিল। চুলে রং করে নতুন লুকে নেইমার শুধু মাঠে🥀ই নামলেন না, গোটা দলের আত্মবিশ্বাসটাই যেন দ্বিগুণ করে দিয়েছিলেন তারকা ফুটবলার। আর তাতেই দোহার স্টেডিয়ামে একের পর এক ফুল ফোটালেন ভিনিসিয়াসরা। আর দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্স তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ল।
ম্যাচের ৭ মিনিটের মধ্যে প্রথম গোল। ডানদিক থেকে রাফিনহার ক্রস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় ডান পায়ের প্লেসিংয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচের ১১ মিꦐনিটে রিচার্লিসনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জুং উ ইউং। পেনাল্টি দেন রেফারি। শট নেওয়ার জন্য বল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন র👍াফিনহা। কিন্তু গ্যালারি ভর্তি দর্শক চেয়েছিলেন, নেইমার যেন লেই স্পট কিক নেন। দর্শকদের আব্দার মেটাতে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বল তুলে দেন নেইমারকে। চিৎকারে ফেটে পড়ে স্টেডিয়াম। ম্যাচের ১৩ মিনিটে নিজের ট্রেডমার্ক ভঙ্গিমায় পেনাল্টি থেকে কাতার বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করেন নেইমার। দেশের জার্সিতে পেলের থেকে মাত্র এক গোল পিছিয়ে। কিংবদন্তির গোল সংখ্যা ৭৭। আর নেইমারের গোলসংখ্যা এখন ৭৬।
আরও পড়ুন: কোয়ার্টারে মুখোমুখি 🧸ব্রাজিল-ক্রো🌼য়েশিয়া- কবে হবে উত্তেজনার ম্যাচটি, জেনে নিন সূচি
নেইমার, রাফিনহা, ভিনিসিয়াস- ত্রিকোণ আক্রমণে কেঁপে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের ২৯ মিনিটে ৩-০ করেন রিচার্লিসন। আর ৩৬ মিনিটে চলন্ত বলে ভলিতে গোল পাকুয়েতার। এখানেই শেষ হয়ে যায় কোরিয়ানদের যাবত✃ীয় লড়াই। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়ানোর। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায়নি। তবে ক্লিনশিট রেখে মাঠ ছাড়া হল না নেইমারদের। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বাঁ-পায়ের ভলিতে ব্যবধান কমান পরিবর্তে নামা পাইক সেউং-হো। প্রথমার্ধে কোরিয়াকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছু আক্রমণ করে তারা। তবে সেটার জন্য দায়ী ব্রাজিলের গা-ছাড়া ভাব।
প্রথমার্ধে যে দাপট নিয়ে খেলেছিল তারা, জয় নিশ্চিত জেনে বিরতির পর কিছুটা হাল্কা মেজাজেই ছিল ব্রাজিল। যারꦗ জেরে গোলও খেতে হয়। এ দিন নেইমার ৮০ মিনিট মাঠে থেকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফিট হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি পেনাল্টি থেকে হলেও, গোল করে নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার🐎 বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে এই রকম দাপট নিয়ে ব্রাজিল পুরো ম্যাচ খেললে, কপালে দুঃখ আছে রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।