এক সুতোয় গাঁথা ছিল স্পেন এবং জার্মানির ভাগ্য। আর তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলল জাপান। জাপান এবং স্পেন দুই দলই ম্যাচের শুরুতে আশা জাগিয়েছিল। তবে ইউরোপের দুই হেভিওয়েট দলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব হিসেব উল্টেপাল্টে দিল জাপান। অনেকটা ফিনিক্স পাখির মতো উত্থান। আর তাতেই লন্ডভন্ড যাবতীয় অঙ্ক। ইউরোপের দুই জায়ান্টকে হারিয়ে𓄧 এশিয়ার দেশটি লিখে ফেলল ইতিহাস।
স্পেন বনাম জাপান
গ্রুপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারানোর পর, তৃতীয় ম্যাচে🏅 পিছিয়ে পড়েও স্পেনকে ২-১ গোল𒆙ে হারিয়ে দিল জাপান। গোল করলেন রিৎসু ডোয়ান এবং আও তানাকা। স্পেনের একমাত্র গোল আলভারো মোরাতার
প্রথমার্ধে স্পেনের পাসিং ফুটবলে কিছুটা গুটিয়ে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে জাপান দেখিয়ে দিল প্রেসিং ফুটবল কাকে বলে! দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে আক্রমণ করে গেলেন জুনিয়া ইতো, ইউরি নাগাতোমো, হিদেমাসা মোরিতারা। স্পেনকে খেলার জা♐য়গাই দিলেন না তাঁরা। প্রথমার্ধে যে পাসিং ফুটবলে দাপট দেখাচ্ছিল স্পেন♐, দ্বিতীয়ার্ধে তা উধাও!
আরও পড়ুন: বিশ্ব🌃কাপ থেকে ছিটকে যেতেই দায় নিয়ে পদত্যাগ বেলজিয়াম কোচের
তবে জাপানের বিরুদ্ধে 🍎স্পেন শুরুটা করেছিল স্পেনের মতোই। শুরু থেকেই দেখা যেতে থাকে পাসের ফুলঝুরি। মাঝমাঠে একের পর এক পাস খেলে জাপানকে হতোদ্যম করে দিতে চেয়েছিল স্পেন। এর মাঝেই ম্যাচের ১২ মিনিটে মোরাতার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লুইস এনরিকের দল। বিরতিতে রেজাল্ট ছিল ১-০। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে সব হিসেব ওলটপালট করে গিল জাপান। ৪৭ এবং ৫১ মিনিটে যথাক্রমে গোল করেন ডোয়ান এবং তানাকা। জাপানে নতুন ভোর। স্পেনকে হারিয়ে তারা লিখল আরও একটি ইতিহাস।
জার্মানি বনাম কোস্টারিকা
পরপর দু'বার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল জার্মানি। তবে শেষ ম্যাচে অনবদ্য ফুটবল খেলে জার্মানরা। তবে সবটাই যে ꦐআগেই হাতের বাইরে বের হয়ে গিয়েছে। কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারায় তারা। কিন্তু গোল ব্যবধানে ছিটকে যেতে হল জার্মানিকে। তবে রেজাল্ট যাই হোক না কেন, এ দিন রাতে জিতল ফুটবল। আল বায়েত স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই সাদা ঝড়। দু'মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ জার্মানির। জামাল মুসিয়ালার শট বাঁচান নাভাস। তার পাঁচ মিনিটের মাথায় অনবদ্য বল প্লে ১৯ বছরের জার্মান যুবকের। বক্সের মধ্যে কোস্টারিকার চার জন ডিফেন্ডারকে কাটান, কিন্তু শট নিশানায় রাখতে পারেননি।
তবে গোল আসে ম্যাচের ১০ মিনিটে। রউমের ক্রস থেকে ফ্লিকে গোলে করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন গনাব্রি। এর পরও চলে আ🤡গ্রাসী ফুটবল। মুহুর্মুহু আক্রমণ। রক্ষণ সামলাতে নেমে গিয়েছিল কোস্টা রিকার পুরো দল। চার মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়তে পারত। গোরেৎজার হেড সেভ করেন নাভাস। প্রথমার্ধে ৭২ শতাংশ বল পজেশন ছিল জার্মানির। তবജে কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি জার্মানি।
আরও পড়ুন: লজ্জায় ড🐼ুবল বেলজিয়াম,নকআউটে ক্রোটরা,ইতিহাস মরক্কোর
কোস্টারিকা ম্যাচে ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতির পর অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তারা। ফলও মেলে। ৫৮ মিনিটের মাথায় তাজেদার গোলে সমতা ফেরায় কোস্টারিকা। গোল খেয়ে আক্রমণেরঝাঁঝ আরও বাড়ায় জার্মানি। কারণ গোল করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তাদের। কিন্তু খেলার গতির বিপরীতে ৭০ মিনিটের মাথায় ন্যুয়েরের আত্মঘাতী গোলে ২-১ এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। খেলা এই ফলে শেষ হলে, জার্মানির পাশাপাশি স্পেনও ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু সেটা হল না। স্পেনকে অক্সিজেন দিল কাই হাভের্ৎজ। ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরান হাভের্ৎজ। ৮৫ মিনিটের মাথায় আবার গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে দলের চতুর্থ গোল করলেন নিকলাস ফুলকুর্গ। শেཧষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে জার্মানি। তবে শেষরক্ষা হল না। গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ছিটকে গেল জার্মানি। আর কোস্টারিকাকে ৭ গোল দেওয়ার সুফল পেল স্পেন। তারা গোলা পার্থক্যে এগিয়ে থাকার সুবাদে নকআউটে চলে গেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।