এই মরশুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথমবার কলকাতার তিন প্রধানকে একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে। সদ্য আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ISL- এ নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে মহামেডান। এখꦿনও পর্যন্ত দলের হয়ে নজর কেড়েছেন ২৪ বছর বয়সী আর্জেন্তাইন ফরওয়ার্ড অ্যালেক্সিস গোমেজ। শনিবার ISL-এ প্রথমবার মুখোমুখি হবে মহামেডান এসসি এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
এই হাই ভোল্ডেজ ম্যাচের আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকার দিলেন গোমেজ। শেয়ার করলেন ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অভিজ্ঞতার কাহিনি। একই সঙ্গে জানালেন আগামীর জন্য তাঁর কী প্রত্যাশা রয়েছে। তবে গোমেজের ক𒐪াছে মহামেডান ꦍপ্রথম ভারতীয় ক্লাব নয়। ২০২২-২৩ মরশুমে সুদেভা দিল্লির হয়ে খেলেছেন তিনি। গত মরশুমে মহামেডানের হয়ে এক বিশ্বমানের গোল করে নজরে আসেন গোমেজ। ভাইরাল হয়েছিল গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে তাঁর মাঝ মাঠ থেকে শট নিয়ে গোল করার দৃশ্য। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছিলেম গোলকিপার এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমি তখন অনেকটাই দূরে ছিলাম, তাই গোলের উদ্দেশ্যেই সেখান থেকে শট নিয়েছিলাম’।
উল্লেখ্য, মহামেডানের হয়ে এখনও পর্যন্ত ISL-এর ৩টি ম্যাচই খেলেছেন এই আর্জেন্তাইন ফরওয়ার্ড। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে গোমেজ বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও এক ভারতীয় ফুটবল দলের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেটা সুদেভা দিল্লি। আমার জন্য গত মরশুমটা ভালো গিয়েছিল। আমি যখন মহামে🔴ডান ক্লাবে যোগ দিলাম তখন সবকিছু আলাদা লক্ষ্য করলাম। এখানে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে এবং যথেষ্ট ভালো একটি দল গঠন করা হয়েছে।
গোমেজের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাঁর মতে কী বিশেষত্ব থাকার কারণে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মহামেডান? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা একটি শক্তিশালী দল ছিল🌼াম। আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল, আমরা সকলেই দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করতাম। সেই কারণেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি’। তিনি আরও বলেন ‘আমি বিশ্বাস করি যে ফুটবলে কেউ কখনও সন্তুষ্ট হয় না, একজন সর্বদা আরও চায়। এ কারণেই আমরা প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের সেরাটা দিতে চাই টেবিলে সবার আ🐽গে থাকার জন্য’।
এর আগে থাই মাসেলের চোটের কারণে বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল এই ২৪ বছর বয়সী ফুটবলারকে। তিনি সেই বিষয়ে বলেন, ‘আমি জানি ফুটবলে চোট আঘাত সাধারণ ঘটনা। এবং আপনি যদি সেটা নিয়ে দুঃখ করেন এবং মাথায় সারাক্ষন চিন্তা করতে থাকেন তাহলে সেটা আরও খারাপ বিষয়। আমি সামান্য ভয় নিয়ে মাঠে ফিরে এসেছি, তবে যত ম্যাচ যাচ্ছে আমি আমার আত্ববিশ্বাস ফিরে পাচ্ছি’। তিনি আরও জানান, ‘মহামেডান আমার কাছে একটা পরিবারের মতো। আমি সত্যিই আমার সতীর্থদের সঙ্গে থাকা উপভোগ করি; হয়তো এটাই সবচেয়ে ভালো জিনিস। আমরা একটি ভালো দল এবং এখানে হাসি-মজার অভাব হয় না’। প্রসঙ্গত, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত তবে মরশুমের প্রথম ‘মিনি ডার্বি’। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বেশ চনমনে রয়েছ🥃ে সাদা-কালো শিবির। &nbs𒈔p;
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।