শুরু হয়ে গেছে ভারতীয় ফুটবলের মরশুম। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। ডুরꦛান্ড কাপে দুই দলই জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে। মোহনবাগান কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে কলকাতায় চলে এসেছেন নয়া কোচ হোসে মোলিনা। অন্যদিকে স্পেনের কার্লেস কুয়াদ্রাতও দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন, ডুরান্ডে প্রথম ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন। জিতেছে দল বেশ ভালোভাবেই, কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও 🦄প্রশ্ন রয়ে গেছে একজন ফুটবলারকে নিয়ে। মোহনবাগানে খেলা জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গেছে ভারতীয় ফুটবলে অন্য দলগুলো অনুশীলন শুরু করেছে, এখনও অবশ্য আনোয়ারকে দড়ি টানাটানি চলছেই। এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
আরও পড়ুন-আগামী অলিম্পিক্সেও পদক জিততে চাই!দেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে 🌜বললেཧন সরবজ্যোৎ সিং, ভিডিয়ো
গতবারের মতো এই মরসুমেও মোহনবাগান হেভিওয়েট দল গড়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হয়েছে বিশ্বকাপা⛦র জেমি ম্যাকলারেনকে। তিনি এ লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। গোল করার ক্ষেত্রে তিনি জেমন কামিনসদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। এছাড়াও গ্রেট স্টুয়ার্টকে দলে নিয়েছে বাগান। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় দিল্লি এফসির কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজের জন্য। ফিফা নিয়মকে হাতিয়াড় করে তিনি দাবি করে বসেন, আনোয়ার তাঁদের ফুটবলার। এরপর আনোয়ারও নাকি মোহনবাগানের মায়া ত্যাগ করে ইস্টবেঙ্গলে খেলায় সায় দেন, যদিও মোহনবাগান তাঁকে ছাড়তে রাজি নয়। বাগানের ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ইস্টবেঙ্গলে প্রি কন্ট্র্যাক্ট পেপারে সই করায় বিতর্ক দানা বাঁধে। শুক্রবার রয়েছে এআইএফএফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাশ কমিটির বৈঠক। সেখানে আনোয়ারের ওপর ফেডারেশনের কোপও আসতে পারে, আবার দিল্লি এফসিও ফাঁসতে পারে। মোহনবাগান তুলনায় রয়েছে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে।
আরও পড়ুন-রাউন্ড অফ সিক্সটিন বলে নয়, আমার ফোকাস সব ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়াঃ বললেন💎 মনিকা
আনোয়ারকে নিয়ে বাগানের স্ট্যান্ড কি, সেটা পরিস্কার করে দিলেন বাগানের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। মঙ্গলবার সাংবদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ‘আনোয়ার দলের গুরুত্বপূর্ণ এক ফুটবলার, খুব ভালো ছেলে। আর সব থেকে বড় কথা ও একদম টিম ম্যান। গতবার বেশ ভালো খেলেছে। এক্ষেত্রে এআইএফএফ যেহেতু বিষয়টায় জড়িত, তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনেও নেব। তবে বুঝতে হবে, যে মোহনবাগান কোনও ক্লাব নয়, এটা একটা প্রতিষ্ঠান, আমাদের দলে তিনজন বিশ্বকাপার রয়েছে, যেটা আর কোনও𓄧 দলে নেই। মোহনবাগানের হয়ে খেলা মানে𝕴 কোনও ক্লাবের হয়ে খেলা নয়,একটা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করা। ও আমার খুব পছন্দের ফুটবলার। আমাদের ক্লাবের একটা ঐতিহ্য গরিমা রয়েছে, তাই কারোর প্ররোচণাতেই আমরা পা দেব না’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।