আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং ইংল্যান্ড। দুই হেভিওয়েট দলের লড়াইটা🍃 একেবারে জমজমাট হবে বলে আশাবা꧑দী ক্রিকেট মহল। তারইমধ্যে ইংল্যান্ডের শক্তি ও দুর্বলতা দেখে নিন, যেগুলির ভিত্তিতে ভারতকে সেমিফাইনালের পরিকল্পনা করতে হবে -
ইংল্যান্ডের শক্তি
স্যাম কারানের ডেথ বোলিং: সেমিফাইনালে ভারতের অন্যতম চিন্তার কারণ হতে পারেন চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। এবার বিশ্বকাপে ডেথ ওভারে কারানের পরিসংখ্যান অবিশ্বাস্য। ১৭ তম থেকে ২০ তম ওভারের মধ্যে ৪০ টি বল করেছেন। খরচ করেছেন মাত্র ৩৪ রান। মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন। নিয়েছেন সাতটি উইকেট। সবমিলিয়ে এব♒ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ টি উইকেট পেয়েছেন।
বিশেষত কারান যেভাবে পেসের হেরফের করেন, তা ইংল্যান্ডের বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এমনিতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হলেও চলতি বিশ্বকাপে ঘণ্টায় ১৪০ কিমির গণ্ডির কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। মাঝারি গতির বলের মধ্যেই কিছুটা জোরে বল করে দেন। তার ফলে সমস্যায় পড়ে যান ব্যাটাররা। সেইসঙ্গে কারানোর হাতে দ🅘ুর্ধর্ষ বাউন্সার আছে। অস্ট্রেলিয়ায় যেদিকে ছোটো বাউন্ডারি, সেদিকে ব্যাটারকে কার্যত কোনও জায়গায় দেননি।
সেই পরিস্থিতিতে বাটলারের প্রথম পছন্দের ডেথ বোলার হয়ে উঠেছেন কারান। তবে ভারতের জন্য একটাই ভালো খবর যে এবার বিশ্বকাপে ডেথ ওভ𝓡ারে ভারতের রানরেট ১১.৯ আছে। যা আপাতত এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। সেটাই কারানের বিরুদ্ধে ভারতকে স্বস্তিতে রাখছে।
ইংল্যান্ডের ‘অনন্ত’ ব্যাটিং: পরপর উইকেট পড়তে থাকলেও ইংরেজেদর ব্যাটিং লাইন-আপ কখন শেষ হবে, সেজন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। আজ যদি ক্রিস জর্ডন খেলেন, তাহলে তো ইংল্যান্ডের ১০ জনই ব্যাট করতে পারেন। সেটাই ইংল্যান্ডের অন্যতম শক্তি। সেইসঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারও পরিবর্তন করা যায়। এমনই পরিস্থিতি হয় যে আইসিসির ক্রমপর্যায়ে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটারকে কখনও কখনও আটে 𒀰নামানোর মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বাটলাররা।
ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটিং: ইংল্যান্ডের প্রথম যে ছয় 🧸ব্যাটার (ডেভিড মালান খেলবেন না, ফিল সল্ট খেলবেন ধরে) নামতে চলেছেন, তাঁদের সকলেই মারকুটে ব্যাটিং করেন। একমাত্র বেন স্টোকস ছাড়া সকলেই প্রথম বল থেকেই বিপক্ষ বোলারদের পালটা দেন। স্টোকসও বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেন। সেইসঙ্গে মইন আলি, স্যাম কারানরাও আছেন। তাঁরা পাওয়ার হিটার না হলেও আক্রমণাত্মক খেলতে পারেন।
বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে আদিল রশিদ: রশিদ যে ভয়ঙ্কর লেগস্পিনার, তেমনটা নন। কিন্তু ভারতের ব্যাটারদের (অধিকাংশ ডানহাতি ব্য🌊াটার) বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন রশিদ। ভারতীয়দের প্রথম তিন ব্যাটারের বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ডও খারাপ নয়। বিশেষত কোহলিকে অনেকটাই নিষ্প্রভ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সবধরনের টি-টোয়েন্টিতে বিরাটকে ৫৯ বল করেছেন রশিদ। খরচ করেছেন মাত্র ৬৩ রান। নিয়েছেন দুই উইকেট।
ইংল্যান্ডের দুর্বলতা
মার্ক উডের অনুপস্থিতি: চোটের জন্য সেমিফাইনালে মার্ক উড সম্ভবত খেলবেন না। যা ইংল্যান্ডের কাছে জোরদার ধাক্কা হতে পারে। ক🐬ারণ চোট সারিয়ে ফেরার পর থেকে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন উড। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লাগাতার🔴 ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি বা তার বেশি বেগে বল করেছেন। সাত উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইক-বোলার। যিনি সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের অন্যতম অস্ত্র হতে পারতেন।
ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে জস বাটলারের ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান: আন্তর্জাতিক 🎃টি-টোয়েন্টিতে ভুবনেশ্ౠবরের অন্যতম প্রিয় শিকার হলেন বাটলার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাটলারকে ৩২ টি বল করেছেন ভুবি। খরচ করেছেন ৩০ রান। আউট করেছেন পাঁচবার। তিনবার আউট করেছেন প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভুবি যদি সুইং পান, তাহলে তা বাটলার তো বটেই, ইংল্যান্ডের অন্যতম দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মন্থর শুরু: শ্রীলঙ্কা ম্যাচ (ছয় ওভারে বিনা উইকেটে ৭০ রান) ছাড়া এব👍ার বিশ্বকাপে তুলনামূলকভাবে মন্থরভাবে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। বাকি তিন ম্যাচে পাওয়ার প্লে'তে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন ইংরেজরা। ওই তিন ম্যাচে পাওয়ার প্লে'তে মোট ছয় উইকেট হারিয়েছেন। বিশেষত বাটলার ঢিমেগতিতে শুরু করেছেন। পাওয়ার প্লে'তে স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৮.১৬। প্রথম তিন ওভারে তা আরও কম - ৯৩.৫৪।
এবার সেরকম ছন্দে নেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার: এমনিতে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন-আপ থাকলেও এবার ব𝐆িশ্বকাপে তেমন ছন্দে নেই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার। মূলত বেশি সুযোগ না পাওয়া এবং পরিস্থিতির কারণে স্নায়ুর চাপ কিছুটা আছে। যা শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও দেখা গিয়েছিল। ফলে সেমিফাইনালে ভারতকে সেই দুর্বলতার সদ্ব্যবহার করতে হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।