শেষ ওভারে একেবারে আগুনে মেজাজে ছিলেন শেফালি বর্মা। জেতার জন্য বাংলাদেশের ৬ বলে ৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু এই ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন শেফালি। একটি রানআউটও করেন🐼। কোনও রান দেননি। তাঁর এই ওভারের হাꦓত ধরেই ৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। মাত্র ৯৫ রানে পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নেমে শেষ ওভারে বাজিমাত করেন শেফালি। সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন দুরন্ত এক রেকর্ড। যে রেকর্ড ভারতীয় পুরুষ দলের বোলারদেরও নেই।
শেফালি বর্মা প্রথম ভারতীয় বোলার যিনি টি-টোয়েন্টির ২০তম ওভারে ৩ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। এই নজির ভারতীয় পুরুষ বোলারদেরও নেই। টি-টোয়েন্টির ২০তম ওভারে ভারতীয় বোলারদের ২ উইকেট নেওয়ার ১৫টি ঘটনা রয়েছে। এর মধ্যে সাম⛄্প্রতিকতম বলে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওভারে শামি ২ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বার ভারতীয়দের মধ্যে শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিলেন শেফালি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের মেয়েরা শুরু থেকেই নড়বড় করছ🅰িলেন। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করেন তাঁরা। ৫০ রানের মধ্🤡যে চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। ৬১ রানের মধ্যে ৬। কোনও রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে টেনেটুনে ভারত ইনিংস শেষ করে ৯৫ রানে।
ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও, পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। স্মৃতি মন্ধানা, শেফালি বর্মা এবং হরমনপ্রীত ছয় ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান। পঞ্চম ওভারের দ্বি🍷তীয় বলে নাহিদা আখতার বোল্ড করেন স্মৃতিকে। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউ হন তারকা ব্যাটার। এরপর শেফালি ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন। তিনি কিছুটা চালিয়ে খেলছিলেন। তবে ১৪ বলে ১৯ করে সুলতানা খাতুনের বলে শোভনা মোস্তারিকে ক্যাচ দেন শেফালি। তাঁর ১৯ রানের ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। শেফালির ১৯ রানই ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: ৯৬ করেও জয়, ১১ বছরের ဣআগের রেকর্ড🍒 স্পর্শ করলেন হরমনরা
চারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন হরমনপ্রীত কাউর। শেফালি ফেরার পরের বলেই সুলতানা বোল্ড করেন ভারত অধিনায়ককে। প্রথম বলেই তিဣনি সাজঘরে ফিরে যান। গোল্ড ডাক করে গড়েন লজ্জার নজির। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গোল্ডেন ডাক করলেন হরমন। এর পর তিনে নেমে জেমিমা রডরিগেস ২১ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেন। ১৩ বলে ১১ রান করেন যস্তিকা ভাটিয়া। হরলিন দেওয়াল আবার ২১ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেন। ১৪ বলে ১০ রান করেন দীপ্তি শর্মা। আটে নেমে আমোনজোৎ কাউর ১৭ বলে ১৪ রান করার জন্য কিছুটা অক্সিজেন হয়। তবে নয়ে নেমে পূজা বস্ত্রকারের ৩ বলে ৭ রান এবং দশে নেমে মিন্নু মানির ৩ বলে ৫ রানের হাত ধরে তাও ৯৫ রানে পৌঁছয় ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা ✃খাতুন ৩ উইকেট নিয়েছেন। ফাহিমা খাতুন ২ উইকেট নেন। মারুফা আখতার, নাহিদা আখতার, রাবেয়া খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও একই ভাবে ল্যাজেগোবরে হন। বোলাররাই এই পিচ থেকে মূলত সুযোগ পেয়েছেন। যে কারণে ভারতের দীপ্তি শর্মা, শেফালি বর্মাদের দাপটে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩০ রানের মধ্যে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। তার পর নির্দিষ্ট ২০ ওভারেই অলআউট হয়ে যান বাংলাদেশের মেয়েরা। দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা, শাথি রানি যথাক্রমে ৫ করে রান করেন। মুর্শিদা খাতুন তিনে নেমে ৪ রান করেন। রিতু মনি, শোর্না আখতার, নাহিদা আখতার যথাক্রমে ৪,৭, ৬ রান করেন। শেষ চার ব্যাটারের সংগ্রহ শূন্য। শেষ ওভারে চার উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। শেফালি বর্মা এবং দীপ্তি শর্মা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। মিন্নু মানি ২টি উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছে🥀ন বারেডি অনুশা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।