বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কোনও ব্যাটার ২০ রানও টপকাতে পারেননি। রীতিমতো ল্যাজেগোবরে হয়ে একশোর আগেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৫ করেন স্মৃতি মন্ধানারা। বাংলাদেশের সামনে ৯৬ রানের লক্ষ্য রাখেন ভারতের মেয়েরা। যেটা একেবারেই কঠিন꧂ লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু ভারতের বোলাররা বাংলাদেশকে ৮৭ রানে অলআউট করে দিয়ে ৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে ꦉরেকর্ড গড়ে ফেলে রমনপ্রীত কাউরের টিম ইন্ডিয়া।
মহিলাদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ভারত তাদের সর্বনিম্ন লক্ষ্য সফল ভাবে রক্ষা করে জয় ছিনিয়ে নেয়। যা মেয়েদের ক্রিকেটের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল একমাত্র ওয়ে꧋স্ট ইন্ডিজের মেয়েদের। ২০১২ সালে তারাও ৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে, সেই রান ডিফেন্ড করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। ভারতের মেয়েরা এদিন সেই রেকর্ডই স♑্পর্শ করলেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট কর🌜তে নেমে ভারতের মেয়েরা শুরু থেকেই নড়বড় করছিলেন। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করেন তাঁরা। ৫০ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। ৬১ রানের মধ্যে ৬। কোনও রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে টেনেটুনে ভারত ইনিংস শেষ করে ৯৫ রানে।
আরও পড়ুন: ইডেনে বিশ্বকাপের ৫ ম্যাচের টিকিটের দাম আলাদা আলাদা, সাধারণ ম♏ানুষের সাধ্যের মধ্যে তো?
ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও, পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। স্মৃতি মন্ধানা, শেফালি বর্মা এবং হরমনপ্রীত ছয় ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাহিদা আখতার বোল্ড করেন স্মৃতিকে। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউ হন তারকা ব্যাটার। এরপর শেফালি ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই সাজ﷽ঘরে ফেরেন। তিনি কিছুটা চালিয়ে ꦿখেলছিলেন। তবে ১৪ বলে ১৯ করে সুলতানা খাতুনের বলে শোভনা মোস্তারিকে ক্যাচ দেন শেফালি। তাঁর ১৯ রানের ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। শেফালির ১৯ রানই ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন হরমনপ্রীত কাউর। শেফালি ফেরার পরের ꦑবলেই সুলতানা বোল্ড করেন ভারত অধিনায়ককে। প্রথম বলেই তিনি সাজঘরে ফিরে যান। গোল্ড ডাক করে গড়েন লজ্জার নজির। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গোল্ডেন ডাক করলেন হরমন। এর আগে ভারতের কোনও অধিনায়ক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গোল্ডের ডাকের নজির গড়েননি।
পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই চাপ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। তিনে নেমে জেমিমা রডরিগেস ২১ বল খেলে মাত্র ৮𝓀 রান করেন। ১৩ বলে ১১ রান করেন যস্তিকা ভাটিয়া। হরলিন দেওয়াল আবার ২১ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেন। ১৪ বলে ১০ রান করেন দীপ্তি শর্মা। আটে নেমে আমোনজোৎ কাউর ১৭ বলে ১৪ রান করার জন্য কিছুটা অক্সিজেন হয়। তবে নয়ে নেমে পূজা বস্ত্রকারের ৩ বলে ৭ রান এবং দশে নেমে মিন্নু মানির ৩ বলে ৫ রানের হাত ধরে তাও ৯৫ রানে পৌঁছয় ভারতের ইনিংস।
বাংল꧅াদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন ৩ উইকেট নিয়েছেন। ফাহিমা খাতুন ২ উইকেট নেন। মারুফা আখতার, ন🔯াহিদা আখতার, রাবেয়া খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও একই ভাবে ল্যাজেগোবরে হন। বোলাররাই 🍌এই পিচ থেকে মূলত সুযোগ পেয়েছেন। যে কারণে ভারতের দীপ্তি শর্মা, শেফালি বর্মাদের দাপটে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩০ রানের মধ্যে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। তার পর নির্দিষ্ট ২০ ওভারেই অলআউট হয়ে যান বাংলাদেশের মেয়েরা। দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি।
দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা, শাথি রানি যথাক্রমে ৫ করে রান করেন। মুর্শিদা খাতুন তিনে নেমে ৪ রান করেন। রিতু মনি, শোর্না আখতার, নাহিদা আখতা🥃র যথাক্রমে ৪,৭, ৬ রান করেন। শেষ চার ব্যাটাꦕরের সংগ্রহ শূন্য। শেষ ওভারে চার উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। শেফালি বর্মা এবং দীপ্তি শর্মা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। মিন্নু মানি ২টি উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছেন বারেডি অনুশা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।