আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঠোক্কর খেল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) বির💧ুদ্ধে মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট হয়ে যান নাইটরা। শেষপর্যন্ত তিন উইকেট ম্যাচ হেরে যান। হেরে গেলেও সেই ম্যাচে কমপক্ষে একাধিক ইতিবাচক দিক ধরা পড়েছে নাইটদের। কী কী সেগুলি, তা জেনে নিন -
টেলএন্ডারদের অবদান: আরসিবির বিরুদ্ধে মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট হয়ে গেলেও বরুণ চক্রবর্তীর ব্যাটিংয়ে আশ্বস্ত হবে কেকেআর। অভাবনীয় কিছু আশা না জোগালেও বিপদের সময় কিছুট🤪া যে ধরে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে কিছুট♍া ভরসা জুগিয়েছেন।
আগে বরুণ কার্যত দাঁড়াতেই পারতেন ন🦂া। সেখানে আরসিবির বিরুদ্ধে ১৬ বলে অপরাজিত ১০ রান করেছেন। আইপিএলের ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে সবথেকে বল খেলার নজির গড়েছেন। সেইসঙ্গে উমেশ যাদবের সঙ্গে শেষ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ২৭ রান যোগ করেছেন। যা তাও কেকেআরের হাতে কিছুটা পুঁজি দিয়েছিল।
পাওয়ার প্লে'তে উইকেট: ২০২০ সালের আইপিএলে তো পাওয়ার প্লে'তে কার্যত উইকেট পাচ্ছিল না কেকেআর। তার ফলে বিপক্ষকে চাপেই ফেলতে পারছিল না। এবারের আইপিএলের প্রথম দুটি ম্যাচে পাওয়ার প্লে'তে একাধিক উইকেট নিয়ে🅺ছে কেকেআর। যা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সবথেকে ভালো সুযোগ। বুধবার তো ২.১ ওভারে আরসিবির স্কোর ছিল তিন উইকেট ১৭ রান।
উমেশ যাদব ও টিম সাউদির দারুণ ছন্দ: প্রথম ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন উমেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ছন্দ ধরে রাখেন। প্রথম ম্যাচের মতোই আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম ওভারেই উইক🥃েট নেন। পরে আরসিবি বেশ সহজেই রান তুলছিল, তখন কৃপণ ওভার করেন। সবমিলিয়ে চার ওভারে ১৬ রানে দু'উইকেট নেন উমেশ।
তাঁর সঙ্গী সাউদিও দুর্দান্ত বল করেছেন। নিজের প্রথম ওভারেই ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে আউট করেন। ম্যাচের শেষের দিকে আরসিবির ছন্দে উমেশ কিছুটা ব্যাঘাত ঘটানোর পর আরও চাপ বাড়িয়ে তোলেন। ১৮ তম ওভারে সাউদির♔ জোড়া উইকেটের কারণেই ম্যাচে প্রবলভাবে ফিরে আসে কেকেআর। সবমিলিয়ে চার ওভা♐রে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কিউয়ি তারকা।
নেট রানরেটে ধাক্কা না খাওয়া: অতীতে একাধিকবার প্রথমে ব্যাটিং করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল কেকেআর। অথচ প্রতিপক্ষ দল অনায়াসে সেই রান তাড়া করে নিত। তার ফলে এমনভাবে নেট রানরেট কমে যেত যে টুর্নামেন্টের শেষের দিকে হা-হুতাশ করতে হত। বুধ♓বার আরসিবির বিরুদ্ধে সেটাই হতে দেননি শ্রেয়স আইয়াররা। কম রানের পুঁজি নিয়েও প্রায় জিতে যাꦉচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত হেরে গেলেও শেষ ওভারে ম্যাচ গিয়েছিল। মাত্র তিন উইকেটে জিতেছে আরসিবি। তার ফলে একধাক্কায় ভয়ঙ্করভাবে পড়ে যায়নি কেকেআরের নেট রানরেট।
শ্রেয়স আইয়ারের অধিনায়কত্ব: চাপের মুখে যে কোনও অধিনায়কের আসল ক্ষমতা বেরিয়ে আসে। শ্রেয়স আইয়ারের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। বল করতে মাঠে নামার আগে তাঁর ভোকাল টনিকে দল যে দারুণভাবে সাড়া দিয়েছে, তা মাঠের লড়াই♛ দেখে বোঝা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ꦛদুর্দান্তভাবে বোলারদের ব্যবহার করেছেন। যখন প্রয়োজন হয়েছে, দলের সেরা বোলারদের এনেছেন। বরুণ কোনওরকম চাপ তৈরি করতে না পারায় উমেশ এবং সাউদিকে আগে বল করিয়েছেন। তার জেরে চাপ তৈরি হয়েছে আরসিবির উপরে।
বিশেষত ১৮ তম♑, ১৯ তম এবং ২০ তম ওভার কে করবেন, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন ছিল। শ্রেয়স 🗹সেই পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে পাশ করেন। ১৮ তম ওভার দেন সাউদিকে। সেই ওভারেই জোড়া উইকেট নেন কিউয়ি তারকা। ১৯ তম ওভার 🅷বেঙ্কটেশ আইয়ারকে দেন শ্রেয়স। আন্দ্রে রাসেলের জঘন্য বোলিংয়ের কারণে শেষপর্যন্ত কেকেআর হেরে গেলেও শ্রেয়সের কৌশল স্পষ্ট ছিল, শেষে কী হবে ভেবে দলের সেরা বোলারকে রাখব না।𒁃 আগে চাপ তৈরি করব।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।