এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রথম ৩৮ ওভারে একটা বলও করেননি। অথচ প্রবল চাপের মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) বিরুদ্ধে ১৯ তম ওভারে সেই বেঙ্কটেশ আইয়ারের হাতে বল তুলে দেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কেন সেইসময় বেঙ্কটেশকে বল করতে দিলেন, সেই কারণও ব্যাখ্যা করল🌠েন তিনি।
ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে শ্রেয়স বলেন, ‘শেষে আমি বেঙ্কিকে (বেঙ্কটেশ আইয়ার ১৯ তম ওভারে বল করেন) বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নি𝄹য়েছিলাম। কারণ আন্তর্জাতিক স্তরে ওর বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে। ওদের সমর্থন জোগাতে হবে। বিশেষত টুর্নামেন্টের গোড়ার দিকে। ওরা যত তাড়াতাড়ি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তত ভালো। সেই আত্মবিশ্বাসের জন্য এটা সেরা ম্যাচ ছিল।’
বুধবার ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় কেকেআর। হাতে কম রান থাকায় বোলারদ🃏ের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রচুর ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ১৭ তম ওভার শেষ শ্রেয়সের হাতে টিম সাউদির এক ওভার এবং আন্দ্রে রাসেলে✤র দু'ওভার পড়েছিল। অধিকাংশ অধিনায়কই রাসেলকে ১৮ তম এবং ২০ তম ওভার দিতেন। ১৯ তম ওভার দিতেন সাউদিকে।
কিন্তু রাসেল ছন্দে না থাকায় এবং কাঁধের সমস্যার কারণে ব্যাঙ্গালোরের ব♌িরুদ্ধে ১৮ তম ও🌺ভারে সাউদিকে বল দেন শ্রেয়স। ১৯ তম ওভারে (যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ওভার বলে মনে করা হয়) বল করতে দেন বেঙ্কটেশকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শ্রেয়সের চালের কারণেই নিদেনপক্ষে শেষ ওভারে ম্যাচ গড়িয়েছে। নাহলে রাসেল যেরকম বাজে ছন্দে ছিলেন, তাতে তাঁকে ১৮ বা ১৯ তম ওভারে বল দিলে আগেই হয়ত জিতে যেত ব্যাঙ্গালোর।
দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব সত্ত্বেও কেকেআর꧒ হেꦏরে যায়। যদিও সেই হারে ভেঙে পড়েননি শ্রেয়স। উলটে বলেন, ‘আমার মতে, ম্যাচটা অত্যন্ত উত্তেজক হয়েছে। বোলিংয়ের আগে ছে▨লেদের বলেছিলাম যে হার বা জিতে যাও🍰 - এই ম্যাচটাই আমাদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় হতে দাঁড়াতে পারে। আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, তা আমাদের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা নিয়ে যাওয়ায় ছেলেদের উপর গর্বিত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।