ꦛ ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই লখনউ সুপার জায়ান্টস লড়াই করছে। কিন্তু সে ভাবে ফল পাচ্ছে না তারা। গত মরশুমের পর এ বার তারা প্লে-অফে উঠেছিল। কিন্তু কোয়ালিফায়ার ওয়ানেই তাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়। পরপর দুই মরশুমই তারা শিরোপা থেকে বেশ কিছুটা দূরে আটকে গিয়েছে। এই বছর লখনউ সুপার জায়ান্টসের সার্বিক পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখা যাক। খুঁজে নেওয়া যাক ব্যর্থতার কারণ।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের সেরা ব্যাটার:
𒉰১. মার্কাস স্টোইনিস- ১৫ ম্যাচে ৪০৮ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯ রান।
𓃲২. কাইল মেয়ার্স- ১৩ ম্যাচে ৩৭৯ রান, সর্বোচ্চ ৭৩ রান।
ꦍ৩. নিকোলাস পুরান- ১৫ ম্যাচে ৩৫৮ রান, সর্বোচ্চ ৬২ রান।
৪. কেএল রাহুল- ৯ ম্যাচে ২৭৪ রান, সর্বোচ্চ ৭৪ রান।
🌌৫. আয়ুশ বাদোনি- ১৫ ম্যাচে ২৩৮ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান।
𓆏আরও পড়ুন: 2023 IPl-এ MI-এর পারফরম্যান্স কলকাতার গরমের মতো, রোদের তাপে পুড়তে হয়েছে নিজেদেরও
ব্যাটিংয়ে জায়ান্টসের ফ্লপস্টার:
১. ক্রুনাল পাণ্ডিয়া- ১৫ ম্যাচে ১৮৮ রান।
২. দীপক হুডা- ১২ ম্যাচে ৮৪ রান।
৩. কৃষ্ণাপ্পা গৌতম- ৭ ম্যাচে ৬১ রান।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের সেরা বোলার:
১. রবি বিষ্ণোই- ১৫ ম্য়াচে ১৬ উইকেট।
২. যশ ঠাকুর- ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট।
৩. নবীন-উল-হক- ৮ ম্যাচে ১১ উইকেট।
৪. মার্ক উড- ৪ ম্যাচে ১১ উইকেট।
৫. ক্রুনাল পাণ্ডিয়া- ১৫ ম্যাচে ৯ উইকেট।
বোলিংয়ে জায়ান্টসের ফ্লপস্টার:
১. মোহসিন খান- ৫ ম্যাচে ৩ উইকেট।
২. যুধভীর সিং- ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট।
৩. কৃষ্ণাপ্পা গৌতম- ৭ ম্যাচে ৩ উইকেট।
৪. মার্কাস স্টোইনিস- ১৫ ম্যাচে ৫ উইকেট।
꧂আরও পড়ুন: আইরিশদের বিরুদ্ধে ম্যাচে বোলিং, ব্যাটিং, কিপিং না করেও আজব নজির অধিনায়ক স্টোকসের
আইপিএলে জায়ান্টসের অবস্থান:
ꦚনিজেদের ১৪টি লিগ ম্যাচের মধ্যে লখনউ সুপরা জায়ান্টস ৮টিতে জিতেছে। ৫টি ম্যাচ হেরেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র করেছে। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের তিন নম্বরে থেকে প্লে-অফে উঠেছিল লখনউ। কিন্তু কোয়ালিফায়ার ওয়ানে তারা মুম্বইয়ের কাছে হেরে যায়।
ইতিবাচক দিক:
𓆏১. রবি বিষ্ণোই, যশ ঠাকুররা এই বছর বল হাতে নজর কেড়েছেন। তাঁরা এই বছর যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়েছে, যেটা লখনউয়ের জন্য ইতিবাচক।
🌳২. চোটের কারণে কেএল রাহুল মাঝপথে ছিটকে গেলেও, লড়াই করেছে দল। তিনে থেকে প্লে-অফে উঠেছে, এই লড়াকু মানসিকতাটাও এলএসজি-র প্রাপ্তি।
😼৩. রাহুলের অনুপস্থিতিতে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া যে ভাবে দলের দায়িত্ব সামলেছেন, সেটাও নজরে এসেছে সকলের। অধিনায়ক হিসেবে ক্রুনালকে পেয়েছে আইপিএল।
জায়ান্টসের দুর্বলতা:
🐈১. মার্ক উডের মতো বোলার শুরুতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। যার ফলে ভালো ফল করছিল লখনউ। কিন্তু তিনি ৪টি ম্যাচের বেশি খেলেনইনি। প্রথমে চোটের কারণে, পরে তিনি পারিবারিক কারণে বাড়ি ফিরে যান। যেটা লখনউয়ের কাছে ধাক্কা হয়।
♌২. কেএল রাহুলের চোটের কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথে ছিটকে যাওয়াটা বড় ক্ষতি হয়। ব্যাটিং লাইনআপ তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেই, সেই সঙ্গে অধিনায়ককে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ।
🅷৩. লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটিং অর্ডার একেবারেই ধারাবাহিক ছিল না। কোনও মতে জোড়াতালি দিয়ে তারা লড়াই করছিল।
🎶৪. গৌতম গম্ভীর এবং নবীন-উল-হকের সঙ্গে বিরাট কোহলির ঝামেলাটাও খারাপ ইমপ্যাক্ট ফেলেছিল। খেলার থেকে ফোকাস সরে, সেই দিকেই সকলের নজর ছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।