২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত টানা ৮টি আইপিএল মরশুমে মাঠে নামার পরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়🐷র লিগের আঙিনা থেকে ছিটকে যান মোহিত শর্মা। ২০২২ আইপিএলের সময় হঠাৎই গুজরাট টাইটানস শি🌱বিরে দেখা যায় অভিজ্ঞ পেসারকে। তবে মূল স্কোয়াডের ক্রিকেটার হিসেবে নয়, বরং নেট বোলার হিসেবে।
জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি ওয়ান ডে ও ৮টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৩৭টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন মোহিত। এহেন তারকা বোলারকে আইপিএলে নেট বোলারের ভূমিকায় দেখে অত্যন্ত ব্যথিত হয় ভারতীয় ক্রিকেটমহল। আইপিএলে ৮৬টি ম্যাচ খেলে ৯৪টি উইকেট নেওয়া বোলার, যিনি কিনা ২০১৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে টুর্নামেন্টের বেগুনি টুপিও জিতেছেন, তাঁকে নেটে বোলার হিসেবে হার্দিকদের বল করতে দেখে ম๊ন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক।
এবছরও গুজরাট টাইটানস শিবিরের সঙ্গী হন মোহিত। তবে এবার আর নেট বোলার 🤡হিসেবে নয়, বরং মূল স্কোয়াডের ক্রিকেটার হিসেবে। নিলাম থেকে এবছর মোহিতকে দলে নেয় টাইটানস। শুধু স্কোয়াডে থাকাই নয়, বরং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হয়ে মাঠে নামারও সুযোগ হয়ে যায় মোহিতের।
আইপিএল ২০২৩-এ গুজরাটের প্রথম ৩ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি মোহিত শর্মা। তবে মোহালিতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তাঁর হাতে টাইটা📖নস ক্যাপ তুলে দেন হার্দিকরা। কোচ-ক্যাপ্টেন তথা টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি মোহিত। তিন বছর পরে আইপিএলের আঙিনায় স্বপ্নের কামব্যাক করেন মোহিত।
মোহালিতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন মোহিত। তিনি সাজঘরে ফেরান জিতেশ শর্মা ও স্যাম কারানকে। ফলে ম্যাচেꦏর সেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে।
এমন স্🙈বপ্নের কামব্যাকের পরে নিজের লড়াই নিয়ে অকপট শোনাল মোহিতকে। বিশেষ করে নেট বোলার থাকাকালীন নিজের মানসিক অবস্থার কথা খোলাখুলিভাবে জানিয়ে দেন ৩৪ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার, যিনি এর আগে চেন্নাই সুপার কিংস, পঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলেছেন।
মোহিত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে 🌠কামব্যাক করছি, তাই যেমন উত্তেজিত ছিলাম ঠিক তেমনই একটু নার্ভাসও ছিলাম। অনেকে তো এটাও জানতেন না 🌜যে, আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতাম কিনা। নেহরা আমাকে কল করে দলের সঙ্গে থাকার কথা বলে। এটাও জানায় যে, কেউ চোট পেলে সুযোগ পেতে পারি। আমিও ভাবি বাড়িতে থেকে কী করব। তার থেকে দলের সঙ্গে থাকলে প্রতিযোগিতামূলক অনুশীলনে থাকতে পারব।’
পরক্ষণেই মোহিত বলেন, ‘আমꦺি ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম, সেটাই আমাকে কামব্যাক করতে সাহায্য করেছে। নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা খারাপ কিছু নয়। এটা নির্ভর করে ব্যক্তিগত ভাবনা-চিন্তার উপর। নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে থেকেও নিজেকে পরিণত করা যায়। মেন বোলাররা অনুশীলনে যা যা করে, নেট বোলাররাও ব্যতিক্রম নয়। তাদে🍸রও সেই সব কিছুই করতে হয়। দলের সঙ্গে থেকে কখনও আলাদা মনে হয়নি। সবাই মিলে সময়টা উপভোগ করেছি।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।