১৯৭৬ সালে শেষবার ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। প্রায় ৪৭ বছর পর ফের একবার ডেভিস কাপ নিজেদের দেশে নিয়ে গেল ইতালি। গোটা টুর্নামেন্টে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করে ইতালি। যা নকআউটে আরও বেশি করে জ্বলে উঠতে সাহায্য করে। সিঙ্গলস এবং ডাবলস দুই বিভাগেই বিশ্বের সেরা টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে দেয় ইতালি। ফলে তখন থেকেই একটা ♒আশার আলো দেখাতে থাকে তারা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যায় তারা। আর তাতে ইতালি পাস করে যায়।
ফাইনালে পুরুষদের সিঙ্গলসে মুখোমুখি হন জানিক সিনার এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউর। অস্ট্🅠রেলিয়ান প্রতিপক্ষকে শুরু থেকেই চাপে রাখার চেষ্টা করেন সিনার। বিপক্ষকে একেবারেই দাঁড়াতে দেননি তিনি। প্রথম সেট জিতে 🍌নেন ৬-৩ ব্যবধানে। এই ফলাফল এটা স্পষ্ট করে, বিপক্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া কোনও প্রতিরোধ সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম সেট হেরে ব্যাকফুটে পড়ে যান অজিরা। অপরদিকে ইতালি শিবিরে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে। চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার গন্ধে মশগুল হতে থাক।
প্রথম সেট জিতไে নেওয়ার পর দ্বিতীয় সেটে নিজের দাপট বাড়ান সিনার। প্রথম সেটে যদিও অজি তারকা কি🐎ছুটা ইতালিকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে তিনি আর পারেননি। বলা ভালো তাঁকে আর কোনও রকম সুযোগই দেননি সিনার। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। এবাই ইতালির সিনার অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্সকে হারায় ৬-০ ব্যবধানে। পরপর দুই সেট জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ডেভিসকাপ চ্যাম্পিয়ন হল ইতালি। এর আগে ১৯৭৬ সালে প্রথমবার ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। তারপর আর কোনও ভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। যদিও অনেকবারই তারা ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু অল্পের জন্য খেতাব হাতছাড়া হয়েছে।
১৯৬০ সালে প্রথমবার ডেভিস কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইতালি। কিন্তু সেবার তারা রানার্স হয়। ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬১ সালে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। ১৯৭৬ꦚ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালেও রানার্স হয়ে শান্ত থাকতে হয়। এছাড়াও ১৯৭৯, ১৯৮০ এবং ১৯৯৮ সালে তারা রানার্স হয়। এরপর আর তারা ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। ফের এবার দীর্ঘদিন পর ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
তবে ইতালির ডেভিস কাপের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তারা ডেভিস কাপে নিজেদের দাপট বজায় রেখেছে। মাঝে একবার চ্যাম্পিয়ন হলেও ফাইনালে একাধিকবার জায়গা করে নেয়। এবার দীর্ঘদিন পর ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়♓ে মাঠ ছাড়ল ইতালি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।