৩২১ রানের পাহাড় টপকে অনায়াসে জয়। অবিশ্বাস্য কীর্তি নিউজিল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দলের। আন্তর্জাতিক তকমা পেলে এটাই হতো বিশ্বরেকর্ড। নিছক প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও হোয়াইট ফার্নসদের এমন দাপুটে পারফর্ম্যান্স বুঝিয়ে দেয়, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে কতটা মরিয়া ত♓ারা।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজেই তারা দ্বিতীয় ꧃সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়েছে। যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম অনুশীলন ম্যাচে হার মানতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ♌্বকাপের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সোফি ডিভাইনরা যে রকম ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট উপহার দেন, তা আপ্লুত করবে নিউজিল্যান্ডের সমর্থকদের।
দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে শুরুতে🌺 ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তারা ৪৯.৩ ওভারে ৩২১ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে অল-আউট হয়ে যায়। অ্যালিসা হিলি ৬৪, মেগ ল্যানিং ৮৭, বেথ মুনি ৫৫, অ্যাশলেই গার্ডনার ৬০ ও নিকোলা ক্যারি ২১ রান করেন। হ্যানা রউই ৪টি ও সোফি ডিভাইন ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিলও্যান্ড ৪৩.১ ওভারে মাত্র ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৫ তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬৩ রান করে আউট হন সুজি বেটস। সোফি ডিভাইন অপরাজিত থাকেন ১৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। ১১৭ বলের ইনিংসে তিꦅনি ২৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ফর্মে থাকা অ্যামেলিয়া কের ৯২ রান করে নট-আউট থাকেন। ৭৫ বলের ইনিংসে তিনি ১৩টি বাউন্ডারি মারেন। নিউজিল্যান্ড ৪১ বলে বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।
মেয়েদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রি♔কেটে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তারা ২০১২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের ২৮৮ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ২৮৯ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল। এই ম্যাচটি যদি আন্তর্জাতিক তকমা পেত, তবে স্বাভাবিকভাবেই রান তাড়া করার বিশ্বরেকর্ড গড়ত নিউজিল্যান্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।