আমি যদি পারি তোমরাও পারবে। হ্যা এভাবেই নিজের জীবনের লড়াইকে তুলে ধরলেন বিশ্বের দ্রুততম মানব নোয়া লাইলস। ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অলিম্পিক্সে দৌড় ইভেন্টে একচ্ছত্র দাপট ছিল জামাইকা। শেষ পর্যন্ত জাꦅমাইকার হাত থেকে নিজেদের গৌরব ফিরিয়ে এনেছেন আমেরিকার স্প্রিন্টার নোয়া লাইলস। তাঁর হাত ধরেই অলিম্পিক্সে ১০০ মিটার দৌড়েꦍর শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোনার পদক জিতে নোয়া লাইলস নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। জানেন কি একাধিক রোগে আক্রান্ত বিশ্বের দ্রুততম মানব নোয়া লাইলস।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: বাইশ গজে ‘লেগ বিফোর ক্যাচ’! পাড়ার ক্রিকেটেও কি কখন এমন অসা🔯ধারণ ফিল্❀ডিং দেখেছেন
প্যারিসে এই জয়টি লাইলস নিরলস প্রচেষ্টা এবং তাঁর মানসিক ও শারী꧙রিক সুস্থতার প্রতি অবদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অ্যাথলেটিক্সে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন মার্কিন এই ক্রীড়াবিদ। নোয়া লাইলস নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমার হাঁপানি, অ্যালার্জি, ডিসলেক্সিয়া, ADD, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা আছে। তবে আমি আপনাকে এটা বলব যে আপনার কাছে যেসব রোগ আছে সেটাই ঠিক করে না আপনি কী হতে পারেন। কেন তুমি পা🎶রবে না!’ রবিবার রাতে আমেরিকার নোয়া লাইলস নতুন ইতিহাস গড়লেন এবং হলেন বিশ্বের দ্রুততম পুরুষ। কিন্তু কীভাবে পেলেন সাফল্য? সোনা জয়ের পর তা জানালেন মার্কিন অ্যাথলিট।
আরও পড়ুন… IND vs SL: ২৭ বছর পরে থামল ভারতের লঙ্কা জয়ের অশ্বমেধেরꦿ ঘোড়া! ১৯৯৭-র পরে হারল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ
সোনা জয়ের পরে সংবাদ সংস্থাকে নিজের সাফল্যের কথা বলেছেন নোয়া। এই সময়ে লাইলস তাঁর থেরাপিস্টে🥃র কথাই তুলে ধরেছেন। বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন কীভাবে থেরাপিস্টের পরামর্শেই তিনি সোনা জিতেছেন। নোয়া লাইলস জানিয়েছেন, ‘আমি চাপে ছিলাম বলব না, আমি বলব যে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে আমি অত্যন্ত কৌতূহলী ছিলাম। কিন্তু আমি আমার থেরাপিস্টের সঙ্গে যখন কথা বলি তখন তিনি আমাকে শান্ত করেন। শুধু মাত্র দৌড়ে ফোকাস করতে বলেন। বাকি ভাবনা সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
পৃথিবীর দ্রুততম মান🅘ব আরও বলেন, ‘আমি সেমিফাইনাল থেকে তৃতীয় দ্রুততম হয়ে এসেছি। আমি মনে করেছিলাম যে এটি গুরুতপূর্ণ হতে চলেছে। এটা সহজ হবে না। তখন আমার থেরাপিস্ট আমাকে পরামর্শ দেন যে আমাকে কী করতে হবে। আমি তাঁর পরামর্শ মেনে চলি।’ সোনা জয়ের পর আমেরিকান ক্রীড়াবিদ নোয়া লাইলস বলেন, ‘দারুণ একটা মুহূর্ত। বিগত কয়েক বছর ধরে ১০০ মিটারে জামাইকার আধিপত্য দেখেছি। আমি বꦿলেছিলাম, যে দিন আমি নামব, সে দিন জামাইকার কোনও অ্যাথলিট শীর্ষে থাকতে পারবে না। সেটাই করে দেখিয়েছি। দৌড়ের শেষটা এর থেকে ভালো হতে পারত না। খুব ভালো লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না কে জিতেছে। এমন ইভেন্ট দেখতেই তো দর্শকরা আসেন।’
লাইলস এখন ২০০ মিটার ইভেন্টে নামবেন। সোমবার যে ইভেন্ট শুরু হচ্ছে। ১০০ মিটারের পর এবার ২০০ মিটারেও সোনা জয়ই পাখির চোখ মার্কিন অ্যাথলিটের কাছে। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লাইলস বলেছেন, ‘আমি সবচেয়ে বড় মঞ্চে, সেরাদের বিরুদ্ধে লড়তে চলেছি, এটার জন্য মানসিক প্রস্তুতিটা সবার আগে দরকার। আমি ২০২১ সালে টোকিওতে ♎১০০ মিটারে অংশ নিইনি। সবাই জানে এই অলিম্পিক্সেই আমি প্রথমবার ১০০ মিটারে অংশ নিয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।