বাংলার ফুটবলের ষোলোকলা পুর্ণ করে সাধের আইলিগ ট্রফি জিতে এসেছে মহমেডান স্পোর্🌄টিং ক্লাব । বাংলায় ভারতসেরার সব ট্রফি ঢোকার থেকেও বড় কথা তিন প্রধানই ভারতসেরার ট্রফি জিতেছে। এমন নয়, যে শুধুই একটা ক্লাব বাংলায় সব ট্রꩲফি জিতে এনে বাংলার ফুটবলকে গৌরবান্বিত করেছে। তিন প্রধানের মিলিত অবদানে ভারতীয় ফুটবলে জ্বলে উঠেছে বাংলার ফুটবলের নাম।
কলকাতা কেন ফুটবলের মক্কা তা বুঝতে পারছে সকলেই। এমন কি যারা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলকে ছাড়া আইএসএল শুরু করেছিল, তারাও এখন মুখ লুকিয়ে রাখতে পারলে বাঁচে। কিন্তু বাংলা ফুটবলের ভালো দিনেও অন্ধকার দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনটღি ভারতসেরা দল, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল আর মহমেডানের প্রথম একাদশে কতজন করে বাঙালি ফুটবল খেলেছে, এই প্রশ্ন তুলেই ক্লাবগুলোকে খোঁচা দিয়েছꩲেন সুব্রত ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে𒁃 তুঘলকি নিয়মে দেখা𒅌 হল না মোহনবাগানের খেলা, স্টেডিয়ামের বাইরে বসে অভিনব প্রতিবাদ
কয়েক মাস আগেই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন জাতীয় দলের বাঙালি ফুটবলার না খেলানো নিয়ে। এরই মধ্যে ময়দানের 🔯বাবলু দার প্রশ্ন, কলকাতার তিন প্রধানে বাঙালি ফুটবলার কম থাকা নিয়ে। সুব্রত ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য যথেষ্টই যুক্তিযুক্ত। শিল্ড জয়ের দৌড়ে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার পঞ্জাব এফসির বিপক্ষে দলে ছিলেন একজনই বাঙালি তথা অধিনায়ক শুভাশিস বোস।
এক্ষেত্রে একটা জিনিস সাধুবাদ যোগ্য, অন্তত অন্য ক্লাবের মতো বিদেশিদের অধিনায়ক না করে বিগত কয়েক বছর ধরে ভুমিপুত্রদেরই ওপরই আস্থা র♈েখেছে মোহনবাগান। শিল্টন পাল, প্রীতম কোটালের পর শুভাশিস বোস। এদিকে সুপার কাপ ফাইনালে ওড়িশা এফসিকে হারানো ইস্টবেঙ্গল দলের প্রথম একাদশে ছিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক বাংলার সৌভিক চক্রবর্তী। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে শিলং লাজংয়ের ম্যাচে ১৮জনের স্কোয়াডে বসেই থাকতে হল তন্ময় ঘোষ, সামাল আলি মল্লিক, শেখ ফৈয়জদের।
আরও পড়ুন-মহমেডান বলেছিল টাকা দিয়ে ISL খেলবে না, সেটাই ক♏রে দেখিয়েছে'-মানস ভট্টাচার্য
বাংলায় কাপ আসলে ফুটবলের উন্নতি হবে? না জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার বাড়লে? এই প্রশ্ন তুলেই সুব্রত ভট্টাচার্য HT বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের൩ খেলোয়াড়রা কোথায় এই দলে? গত ১২৫ বছরে বাঙালি ফুটবলারদের যা অবদান ছিল, এই দলে বাঙালির অবদান কোথায়? এভাবে খেলে বাংলার ফুটবলের উন্নতি হবে না। বাঙালি ফুটবলার দিয়ে খেলিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে আরও গর্ববোধ করতাম। বাংলার দল খেলছে, সেখানে বাঙালি ফুটবলার খেললে তার আ🌄নন্দ আরও বেশি হত। রাজ্যের ফুটবলারদের অবদান ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে বেশি থাকা দরকার। নাহলে বাংলা ফুটবলের কোনও লাভ হবে না’।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে তুঘলকি নিয়মে দেখা হল না মোহনবাগানের খেলা, স্টেডিয়ﷺামের বাইরে বসে অভিনব প্রতিবাদ
আরেক প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিন প্রধানের ওপর ট্রফি জয়ের চাপ আছে, সেই কার🎶ণেই তাদের ভিন রাজ্য থেকে ফ♔ুটবলার নিয়ে আসতে হয়। তবে আইএফএ সম্প্রতি যে নতুন নীতি চালু করেছে কলকাতা লিগে প্রতি দলে চারজন ভুমিপুত্র খেলানোর, তার থেকে বাংলা ফুটবলের উন্নতি হবে বলেই আশা করছেন কলকাতা ময়দানে দাপিয়ে খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।