ভারতীয় ক্রিকেট বহু প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে জন্ম দিয়েছে। তবে সেই প্রতিভাধর ক্রিকেটাররা সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, এম🐼এস ধোনি, রোহিত শর্মার মতো জায়ান্টদের সামনে হারিয়ে গিয়েছেন। এদের মাঝে তাদের অবদান ভুলে যাওয়াটাই সাধারণ ভক্তদের পক্ষে স্বাভাবিক। চেতেশ্বর পূজারা, কোহলি এবং অজিঙ্কা রাহানে টেস্টে ভারতের মিডল অর্ডাꦜরের মেরুদণ্ড হয়ে ওঠার অনেক আগে, কিছু কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর যুগের পর থেকে ভারতীয় দলকে সামলানোর কাজটা করেছিলেন। সেই তালিকাতেই রয়েছে মুরলি বিজয়র নাম। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে, এমএস ধোনির অধিনায়কত্বে নিজের ছাপ রাখতে চেয়েছিলেন বিজয়। অন্যতম বিখ্যাত ওপেনার মুরালি বিজয় নিজের প্রতিভা দিয়ে বহুদিন ধরে দলে নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন… অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বড় অঘটন, ছিটকে গে♍লেন গতবার꧂ের চ্যাম্পিয়ন নাদাল
মুরলি বিজয় ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্টে ১২টি শতক এবং ১৫টি অর্ধশতক সহ ৩৮.২৮ গড়ে প্রায় চার হাজার রান করেছিলেন। একটা সয়ে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুরলি বিজয় টেস্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী ওপেনিং পার্টনার হয়ে উঠেছেন। হোম এবং অ্যাওয়ে উভয়েই সেঞ্চুরি করেছেন বিজয়। তবে বিজয়ের কর্মজীবনকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে - একটি ২০১১ সালের আগে💃 এবং একটি ২০১২ সালের পরে।
২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে মুরলি বিজয় একজন প্রতিশꦫ্রুতিশীল তারকা ছিলেন, কিন্তু ২০১৩ সালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের সময় এই ব্যাটসম্যান সত্যিই নিজের দক্ষতা দেখিয়ে ছিলেন। মহাকাব্যিক সিরিজের কথা স্মরণ করে, বিজয় প্রকাশ করেছিলেন যে প্রথম ম্যাচে ১০ এবং ৬ রান করার পরে তিনি কীভাবে দলে জায়গা হারানোর ভয়ে ছিলেন। কিন্তু একবার হায়দরাবাদের টেস্টে মুরলি বিজয় ৩৬১ বলে ১৬৭ রান করেছিলেন, তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এবার তাঁর উজ্জ্বল হওয়ার সময় এসেছে𒊎।
আরও পড়ুন… Ind vs NZ ODI: ইশ✱ান কিষাণের জন্য বিরাট কোহলির কাছ থেকে বড় ত্যাগ চাইলেন মঞ্জরেকর
স্পোর্টস্টারের জন্য ডব্লিউভি রমনের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মুরলি বিজয় বলেন, ‘আমি অবশ্যই অনুভব করেছি যে (ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট) যখন আমি হায়দরাবাদে আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য আমার শতরান করেছিলাম। আমি ভুল না হলে এটি ছিল ২০১২ সাল। আমি সঠিক বছরটি জানি না ত🗹বে সেই সময়টির কাছাকাছি হবে। যখন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আমি এক সঙ্গে দলে খেলছিলাম। ওপেনিং করার সময়ে সেহওয়াগ আমার কাছে এসেছিলেন এবং আমায় ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটি আপনার শেষ টেস্ট সিরিজ হতে পারে।’ এবং আমি অনুভব করেছি হায়দরাবাদের ইনিংসটিই ছিল অন্যতম সেরা ইনিংস।’
বিজয𝕴় তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির পরের টেস্টে তৃতীয়টি শতরানটি মোহালিতে করেছিলেন। সেই ম্যাচ তিনি ১৫৩ রান করেছিলেন। সেই সময়ে ধাওয়ানের টেস্ট অভিষেকও হয়েছিল। সেখান থেকে বিজয় আর ফিরে তাকাননি। তিনি দ্রুত ভারতের সেরা ব্যাটারদের একজন হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালে মুরলি বিজয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নটিংহ্যামে ১৪৬ রান করেছিলেন এবং ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪৪ রান করেছিলেন। যা এই ভারতীয় ওপেনারের দ্বারা খেলা সেরা দুটি নক। বিজয় ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আবারও ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করেন এবং ইংল্যান্ডে ২০১৮ সালে একটি খারাপ আউটের পরে একবার এবং সর্ব🍎দা তার জায়গা হারান। কিন্তু মুরলি বিজয় যেমন উল্লেখ করেছেন, হায়দরাবাদ টেস্টের পরে তিনি একটি ভিন্ন স্তরে পৌঁছেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।