Women's Ashes 2023: অস্ট্রেলিয়ার অহঙ্কার ভেঙে দিল ইংল্যান্ড। বাইশ গজে ২০১৩ সালের পর থেকে টানা ২০টা একদিনের সিরিজ জিতে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দল। প্রায় এক দশ পরে অর্থাৎ দশ বছর পরে আবার কোনও একদিনের সিরিজে হারতে হল তাদের। আসলে টানা ২০টা একদিনের সিরিজ জিতে আসছিল অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দল, এবার মহিলাদের অ্যাশেজ সিরিজ ২০২৩ এর একদিনের সিরিজটিে পকেটে তুললো ইংল্যান্ডের মহিলা দল। তবে এখন প্রশ্ন হল তাহলে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়াকে কোন দল শেষবার একদিনর সিরিজে হারিয়েছিল? এর উত্তর হল, ইংল্যান্ড। হ্যা, শেষবার অর্থাৎ ২০১৩ সালে একদিনের সিরিজে শেষবার অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডেরඣ মহিলা দল। এবার ১০ বছর পরে আবারও হারাল তারা। বলা যেতে পারে অশ্বমেধের ঘোড়াক থামিয়েদিল ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দল।
আসলে বর্তমℱানে অ্যাশেজের মরশুম চলছে। একদিকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ দল এই সিরিজ খেলত ব্যস্ত, অন্যদিক মহিলাদের ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজও শুরু হয়েছে। এখানে ইংল্যান্ডের মহিলা দল এবং অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। এই সিরিজ বর্তমানে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পুরুষদের ক্রিকেটে অ্যাশেজ হিসাবে শুধুমাত্র টেস্ট সিরিজ খেলা হয়, তবে মহিলাদের ক্রিকেটে তিনটি ফর্ম্যাটের ম্যাচই খেলা হয়। এবারের মহিলাদের অ্যাশজে বিজয়ী হল ইংল্যান্ড দল। তারা টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ দখল করেছে এবং মহিলাদের অ্যাশেজ জয়ে সফল হয়েছে। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে বাজেভাবে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
একটা সময় ছিল যখন ইংল্যান্ড দল ০-২ পিছিয়ে ছিল। দলটি একমাত্র টেস্ট ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল এবং তারপর স্বাগতিক ইংলিশ দলও তিন ম্যাচের টি﷽-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। তবে এর পর দলটি ফিরে আসে টানা দুই ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দখল করে। ইংল্যান্ডও ওয়ানডে সিরিজ ভালোভাবে শুরু ཧকরে এবং প্রথম ম্যাচে জিতেছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যায়, একটি ক্লোজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুধু ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ নয়, এটি মহিলা অ্যাশেজ সিরিজের ফাইনাল ম্যাচও ছিল। এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম༺্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ন্যাট সꦍাইভার ব্রান্ট ইংল্যান্ড দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেন এবং অধিনায়ক হিদার নাইট অর্ধশতক করেন। ব্রান্ট ১২৯ এবং ক্যাপ্টেন নাইট ৬৭ রান করেন। ড্যানিয়েল ওয়াটও করেন ৪৩ রান। এভাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের বিশাল স্কোর তোলে ইংল্যান্ড।
২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দল। যদিও এলিস পেরি এবং তাহলিয়া ম্যাকগ্রার মধ্যে একটি দারুণ জুটি গড়ে উঠেছিল, দল বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ছিল। বৃষ্টিও ম্যাচটি বাধাগ্রস্ত করে এবং অস্ট্রেলিয়া ৪৪ ওভারে ২৬৯ রানের লক্ষ্য পায🐠়। কিন্তু অজি দল ৩৫.৩ ওভারে ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় এবং এই ভাবে ৬৯ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি হেরে যায়। অ্যাশ গার্ডনার এবং নেট সাইভার ব্রান্ট যৌথভাবে এই সিরিজের সেরা হ𝔉য়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।