প্রযুক্তির দুনিয়ায় প্রতিদিনই অতীত ইতিহাসে স্থান নেয় পুরনো প্রযুক্তি কৌশল। এবার আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে মাইক্রোসফটের কিবোর্ডে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে যে মাইক্রোসফট কিবোর্ড ব্যবহার করতে আমরা অভ্যস্ত, সেই কিবোর্ডেই আসতে চলেছে যুগান্তকারী বদল। মাইক্রোসফট কিবোর্ডে ব্যবহৃত হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির একটি বোতাম। এই বোতাম ব্যবহার করে সুযোগ পাওয়া যাবে মাইক্রোসফটের এআই টুল কো পাইলট চালনা করার। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, উইন্ডোজ সেভেন, উইন্ডোজ এইট কিংবা উইন্ডোজ টেনের মত পুরনো ভার্সনগুলিতে চলবে না এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বোতামটি। কেবলমাত্র উইন্ডোজ ইলেভেনের নতুন ভার্সনটিতেই ব্যবহার করা যাবে কো পাইলট। এক বোতামের চাপেই মুশকিল আসান এখন সময়ের অপেক্ষা।বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সহযোগিতাতেই এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে পারছে মাইক্রোসফট। চ্যাটজিপিটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওপেন এআইতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। দুই সংস্থার মিলিত প্রয়াসে এই নতুন প্রযুক্তির পরিষেবা পাবেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। তবে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গেলে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাজারে চলে আসবে কো পাইলট। এআই কিবোর্ডের একটি বোতামের চাপেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার দুয়ারে পৌঁছে যাবেন আপনি।এই বিশেষ এআই বাটন কো পাইলট আপনার কিবোর্ডের স্পেস বারের ঠিক ডানদিকেই অবস্থান করবে। ১৯৯৪ সালে মাইক্রোসফট তার কিবোর্ডে উইন্ডোজ বা স্টার্ট বোতাম টি নিয়ে এসেছিল। এর পরবর্তীতে কিবোর্ডের সব থেকে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে ২০২৪ সালেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রযুক্তি আরও উন্নত এবং ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আজকের সময় ইমেল লেখার কাছ থেকে কোনও লেখার সারমর্ম খুঁজে বের করা, সমস্ত কিছুই সম্ভব। প্রসঙ্গত মাইক্রোসফটের কনজিউমার চিফ মার্কেটিং অফিসার ইউসুফ মেহেদি তার ব্লগে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘এআই সিস্টেম থেকে খুব সহজেই সিলিকন হার্ডওয়ার থেকে উইন্ডোজের বিভিন্ন কাজ করা যাবে।' এখন দেখার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীরা কতটা রপ্ত করতে পারেন ওপেন এআই-এর ব্যবহার।