ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটালিজেন্স-এর কর্মযজ্ঞে বড় সংযোজন। মার্কিন চিপ প্রস্তুতকারী সংস্থা Nvidia ঘোষণা করেছে যে তারা রিলায়েন্স ও টাটার সঙ্গে পৃথক চুক্তির মাধ্যমে ভারতে এআই নিয়ে বিনিয়োগ করতে চায়। প্রাথমিক ভাবে ক্লাউড ই⛄নফ্রাস্ট্রাকচার ও ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলেই টাকা ঢালবে তারা। এছাড়াও বিভিন্ন জেনারেটিভ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, চিন সহ বিভিন্ন দেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে চিপ রফতানিতে সমস্যা হচ্ছিল সংস্থার। সেই সময়ই এল ভারতে বড় লগ্নির ঘোষণা। তবে দুটি চুক্তিতেই টাকার অঙ্ক কী, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এরমধ্যে আবার সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবসায় রিলায়েন্স আগ্রহী বলেও শোনা যাচ্ছে।
Nvidia-র CEO জেনসেন হুয়াং চলতি সপ্তাহেই মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপরেই শুক্রবার জি২০-রি ঠিক আগে এল এই খুশির খবর। রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তিতে এনভিডিয়া কমপিউটিং পাওয়ার প্রদান করবে ক্লাউড এআই ইনফ্রাস্টܫ্রাকচার প্ল্যাটফর্ম বানানোর জন্য। অন্যদিকে জিও পরিকাঠামো ও ক্লায়েন্ট এনগেজমেন্টের দিকটা দেখবে। মূলত ৪৫ কোটি জিও গ্রাহকদের জন্য এআই পরিষেবা তৈরি করাই টার্গেট। এছাড়াও বিজ্ঞানী, ডেভেলপার ও অন্যান্য স্টার্টআপদের জন্য শক্তিসাশ্রয়ী পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
অন্যদিকে &nbs♏p;টিসিএসের সঙ্গে একযোজে জেনারেটিভ এআই অ্যাপ ও সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে এনভিডিয়া। টিসিএসের ছয় লক্ষ কর্মীকে এআই শেখাবে সংস্থাটি। ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে ভোগ্যপণ্য, টাটারা যেসব ব্যবসায় আছে সেখানে এআই ব্যবহার যাতে আরও প্রসারিত করা যায়, তার ব্যবস্থাও হবে এই চুক্তির মাধ্যমে।
চ্যাটজিপিটি সহ অন্যা💃ন্য এআই-এর নেপথ্যে যে কমপিউটিং সিস্টেম সেটা কার্যকর হয়ে এনভিডিয়ার মাধ্যমে। মূলত লার্জ ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলের মাধ্যমে এই কাজ করে সংস্থাটি। এই চুক্তির ফলে রিলায়েন্স মার্কিন সংস্থার অত্যাধুনিক গ্রেস হপার সুপারচিপের ব্যবহার করতে পারবে, যেটার এআই চিপ চ্যাটজিপিটি-র মতো অ্যাপ পরিচালনা করে। এর ফলে রিলায়েন্স পরিবেশ গবেষণা, ওষুধ নির্মাণ থেকে চ্যাটবট, সবেতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিও-র দৌলতে রিলায়েন্সের কাছে এখন ডেটার অভাব নেই। কিন্তু ডেটাটি ব্যবহার কীভাবে করা হবে, কীভাবে বিভিন্ন সেক্টরের ক্লায়েন্টদের ক্রস সেল করা যাবে প্রোডাক্ট, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জোগাবে এই এআই প্রযুক্তি।