ব্যয়বহুল রিচার্জ প্ল্যানের মরসুমে ব্যবহারকারীদের স্বস্তি যোগাচ্ছে বিএসএনএল। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। সম্প্রতি ভারতীয় সঞ্চার নিগম লিমিটেডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোম্পানির বর্ধিত এই গ্রাহক সংখ্যায় কিছু সꦕংখ্যক নতুন গ্রাহক এবং কিছু এমন গ্রাহকও রয়েছেন, যাঁরা সিম ꦛপোর্ট করে বিএসএনএল বেছে নিচ্ছেন। প্রায় ২.৭৫ মিলিয়ন গ্রাহক বিএসএনএল-র সিম তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি ব্যবহার করে সিম পোর্ট করেছেন ২৫০,০০০ জন গ্রাহক। এই ক্রমবর্ধমান গ্রাহক সংখ্যা থেকে, মনে করা হচ্ছে যে আগামী সময়ে, আবার টেলিকম শিল্পে নিজের দখল শক্তিশালী করতে চলেছে বিএসএনএল।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ৯৩.৬১ কোটি
ভারতে জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। টিআরএআই কয়েকদিন আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, যেখানে তারা বলেছিল যে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৬১ কোটি। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও🧔 বাড়বে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেশের টেলিকম সংস্থাগুলির ব্যবসা বাড়তে চলেছে আমাদের দেশে চারটি প্রধান টেলিকম সংস্থা রয়েছ🅺ে, যার মধ্যে তিনটি বেসরকারি সংস্থা জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া এবং একটি সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি, ইন্ডিয়ান কমিউনিকেশনস কর্পোরেশন লিমিটেড অর্থাৎ বিএসএনএল।
জুনের শেষ সপ্তাহে ভারতের বেসরকারী সংস্থাগুলি রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধির ঘো🃏ষণা করেছিল। প্রথমে জিও, তারপরে এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া, পর পর দাম বাড়িয়ে গিয়েছে। জিও এবং এয়ারটেলের রিচার্জ প্ল্যানগুলি ৩ জুন, ২০২৪ থেকে ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে, ভোডাফোন আইডিয়ার রিচার্জ প্ল্যানগুলি ৪ জুন, ২০২৪ থেকে ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। জিও, তার রিচার্জ প্ল্যানের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে, প্রায় ১২ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এয়ারটেল আবার তার রিচার্জ প্ল্যানের দাম ১১ থেকে ༺২১ শতাংশ বাড়িয়েছে। ভোডাফোন যদিও সেই তুলনায় কম বাড়িয়েছে, ১০ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত।
এমন পরিস্থিতিতে, বিএসএনএল কোম্পানির কাছে, এত গ্রাহক এসেছে, এই তথ্য ভালো ঠিকই, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিকে নিজের নেটওয়ার্ক গতিবিধি বাড়াতে হবে। নাহলে এই গ্রাহকের দীর্ঘমেয়াদের জন্য কোম্পানির সঙ্গে থাকবে না। তাই এমনটা না করতে পারলে, বিশ্🌳লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন যে বিএসএনএল গ্রাহকদের বৃদ্ধি সাময়িক হতে পারে।
সরকার এমটিএনএল অপারেশনগুলি বিএসএনএলকে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে
এখন আর্থিক অবস🐼্থা ভালো নয় মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেডের। তাই সরকারএকটি চুক্তির মাধ্যমে এই কোম্পানির কার্যক্রম বিএসএনএল-এর কাছে হস্তান্তর করার বিকল্প বিবেচনা করছ। এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, প্রস্তাবটি সচিবদের কমিটির সামনে রাখা হবে এবং তারপরে মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হবে।