ভারতে চিনের শর্ট ভিডিয়ো অ্যাপ TikTok নিষিদ্ধ। প্রায় তিন বছর আগেই সেই অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। ভারতীয় ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষার স্বার্থে চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে ফোর্বস। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেস করতে পাচ্ছেন টিকটক কর্মীরা। মালিক সংস্থা বাইটড্যান্সের নাগালে এখনও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ফোর্বসের প্রতিবেদনে। আরও পড়ুন: TikTok-এর ধাক্কা? প্রথমবারের জন্য কমল Youtube-এর আয়
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থার যে ক🎃েউ তাঁদের প্ল্🦂যাটফর্মে ভারতের ব্যবহারকারীদের আগের থেকে জমে থাকা নির্দিষ্ট তথ্য রিস্টোর এবং বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এমনকি টিকটকেরই এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, 'আমার মনে হয় ভারতীয়দের কোনও ধারণাই নেই যে তাদের ঠিক কতটা তথ্য চিনের হাতে জমে আছে।'
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে টিকটক ভারতে ত♌াদের সমস্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করে�� তাদের অফিস বন্ধ করে দেয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, TikTok কর্মীদের একটি ꦇঅভ্যন্তরীণ সোশ্যাল ম্যাপিং টুল রয়েছে, এর মাধ্যমে যে কোনও পাবলিক বা প্রাইভেট ব্যবহারকারীর TikTok কনট্যাক্টের তালিকা তৈরি করে নেওয়া যাবে।
টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার আগে প্রায় সেই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ২০ কোটি ভারতীয় ব্যবহারকারী ছিলেন। TikTok-এর মালিক সংস্থা ByteDance যদিও দাবি করেছে ভারতে তাদের পুরানো ব্যবহারকারীদের থেক🎀ে সংগ্রহ করা ডেটায় তারা হাত দেয় না। সংস্থা জানিয়েছে, 'আমরা একনিষ্ঠভাবে🍸 ভারত সরকারের আদেশ মেনে চলছি। নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর থেকে আমরা তা যথাযথভাবে পালন করেছি।'
গালওয়ানে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঠিক পরপরই কেন্দ্র ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল। তার মধ্যে TikTok-ও ছিল। ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি 𒁃মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ২৯ জুন, ২০২০-তে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেন। এটিকে তিনি চিনের বিরুদ্ধে 'ভারতের ডিজিটাল ধর্মঘট' বলে অভিহিত করেন। তবে এর আগে পর্যন্ত টিকটক ব্যবহারকারীদের যে ডেটা জমিয়েছিল, তা ডিলিট করা🔜নো হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
চিনে ডেটা ফাঁস নিয়ে সরকারি স্তরে চিন্তা তো ছিলই। তার পাশাপাশি সামাজিক স্তরেও টিকটকের কুপ্রভাব নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। এর ফলে যুবসমাজের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা, ভুয়ো জীবনযাত্রা, লালসা এবং হিংসাপরায়ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেন অনেকেই। তবে টিকটক বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই MX Takatak, Moj-এর মতো বিভিন্ন ভারতীয় অ্যাপ ঠিক সেই জায়গাটিই ধরে নিয়েছে। আরও পড়ুন: Instagram কি TikTok হয়ে যাচ্ছে? ফিডে এত অচেনা লোকের Reels আসছে কেন?