প্রায় ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগের কথা। তখন শনির মতো হয়ত দেখতে ছিল পৃথিবী। শনির যে অত্যাশ্চর্য বলয় রয়েছে, ওই একই বলয় হয়ত ছিল পৃথিবীর চারপাশে। আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্সে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। পৃথিবীর ওই প্রাচীন বলয়, গ্রহটিকে ঠিক কীভাবে প্𒐪রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কেও এক আকর্ষণীয় তথ্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: (Cyber Fraud: '০' ডায়াল করতেই উধাও ৯ লক্ষ টাকা, সিবিআ💯ই সেজে 🍸রেলকর্মীর পকেট কাটল প্রতারকরা)
পৃথিবীর বলয় গঠন হয়েছিল কীভাবে
পৃথিবীর চারপাশে বলয় তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয় যখন একসময় একটি বড় গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। গ্রহাণুটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সেই টুকরোগুলিই পৃথিবীর বিষুবরেখার চারপাশে ধ্বংসাবশেষের😼 একটি বলয় তৈরি করে। অনেকটা শনি, ইউরেন♊াস, নেপচুন এবং বৃহস্পতির মতো গ্রহগুলির চারপাশে থাকা বলয়ের মতো। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই টুকরোগুলো বেশিরভাগই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে পৃথিবীতেই ঢুকে পরে।
ছোট ছোট টুকরোগুলো সম্ভবত বায়ুমণ্ডলে গিয়ে অদৃশ্🔥য হয়ে যায়। আর বড় টুকরোগুলি পৃথিবী পৃষ্ঠে সজোরে আছাড় খেয়ে ইমপ্যাক্ট ক্রেটার বা সুবিশাল গর্ত তৈরি করে।
গবেষকরা ইতিমধ্যেই ২১টি ইমপ্যাক্ট ক্রেটার খুঁজে পেয়েছেন, যা ৪৪৩ থেকে ৪৮৮ মিলি𝔉য়ন বছর আগের অর্ডোভিসিয়ান যুগের বলে মনে করা হচ্ছে। মজার বিষয় হল, প্রত্যেকটি সুবিশাল গর্ত বিষুবরেখার কাছে অবস্থিত, যা মূলত অস্বাভাবিক। এ প্রসঙ্গে, মোনাশ ইউনিভার্সিটির গ্রহ বিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু টমকিন্স বলেন, 'সাধারণত, গ্রহাণুগুলি এলোমেলোভাবে যে কোনও অক্ষাংশেই পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে৷ কিন্তু এই ২১টি ক্রেটারের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি।' এই ধারণা থেকেই বিজ্ঞানীদের মনে হ🦹চ্ছে যে আজ থেকে ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর বলয় থাকলেও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: (Rig Veda: ঋগ্বেদে লেখা প্রাচীনতম সূর্যগ্রহণের এই গোপন রহস্য,🌼 তারিখটি জানতে গিয়ে অবাক বিজ্ঞানীরা)
জলবায়ুকে প্রভাবির করতে পারত এই বলয়
গবেষকরা মনে করেন যে পৃথিবীর চারপাশের বলয়, জলবায়ুকে প্রভাবিত করতে পারত। এটি শীতের গোলার্ধে সূর্যের আলো পৌঁছোতে বাধা দিতে পারত, যা শীতের মাসগুলিতে তাপমাত্রার আরও কমিয়ে দিত। বিপরীতে, গ্রীষ্মের গোলার্ধে আরও বেশি সূর্যের আলো এবং উষ্ণ তাপমাত্রা পাঠাতে পারত, যা গরম আরও বাড়িয়ে দিত হয়ত। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যে সময়ে পৃথিবীর উ🦩পর বলয়টি বিদ্যমান ছিল বলে মনে করা হয়, সেইসময় পৃথিবীর তাপমাত্রা বাস্তবেই কম ছিল। আজ থেকে প্রায় ৪৬০ থেকে ৪৬৫ মিলিয়ন বছর আগে, সারা বিশ্বের তাপমাত্রা এতটাই কমে গিয়েছিল যে, তা হিরনান্তিয়ান বরফ যুগে পরিণত হয়। এই সময়ট গত ৫০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা সময় বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: (Gaganyaan miss𝐆𓄧ion: সুনীতার ঘটনা থেকে শিক্ষা, গগনযান নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না ইসরো)
প্রসঙ্গত, গ্রহাণুগ🦹ুলি কীভাবে বিচ্ছিন্ন হয় এবং কীভাবে ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর জলবায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে, তা জানার জন্য গবেষকরা গাণিতিক মডেল তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন।