অনলাইনে অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ। গুগলকে এই বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র। তাতে গুগল সার্চ এবং ইউটিউবে ফেয়ারপ্লে, প্যারিম্যাচ, বেটওয়ে এবং 1xBet-এর মতো বিদেশি বেটিং সংস্থার🌠 সারোগেট বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
মাস দুই আগে, ৩ অক্টোবর সরকার সম্প্রচারকারী এবং ভিডিয়ো স্ট্রিমিং পরিষেবা প্রদানকারীদের এই জাতীয় জুয়া অ্যাপের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। আরও পড়ুন: অনলাইন বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন ঘিরে কেন্দ্রের কড়া বারཧ্তা খবরের ওয়েবসাইট, চ্যানেল ও ওটিটিকে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (MIB) এক ওয়াকিবহাল সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে গুগল ইন্ডিয়াকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে এই বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে অবিলম্বে সমস্ত বিজ্ঞাপন সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়। সমস্ত ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপনও সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। একইভা🌳বে দেশের ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের পোর্টালেও এই ধরনের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
'সারোগেট বিজ্ঞাপন' কী?
মাতৃত্বের জন্য অন্য কারও গর্ভ 'ভাড়া' নেওয়াকে সারোগেট বলা হয়। তেমনভাবেই অন্য কোনও পোর্টাল, লেখা, ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রচার করাকে সারোগেট বিজ্ঞাপন বলে। মানে ধরুন কোনও ভুয়ো খবরের পোর্টালের ভঙ্গিমায় লেখা যে, 'XYZ গেম খেলে কোটিপতি কলকাতার কিশোর।' সঙ্গে এক অজানা যুবকের ছবি। খুব দামি গাড়ির বনেটে বসে সে। এমন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন অཧনেকেই দেখেছেন। তাতে সাধারণ ভিতরে উক্ত গেম(পড়ুন জুয়া খেলা) ডাউনলোডের লিঙ্ক দেওয়🅷া থাকে। এবার থেকে এমন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন আর গুগল সার্চ বা ইউটিউব সার্চে রাখা যাবে না।
ক্রমেই বহু ভারতীয় এমন অনলাইন বেটিং সংস্থাগুলির খপ্পরে পড়ছেন। সেখানে আসক্ত হয়ে টাকা হারাচ্ছেন তারা। এদিকে খে♕লার নাম করে এবং শুরুতেই ঝুঁকির কথা জানিয়ে দিয়ে আইনি পদক্ষেপের সুযোগও দিচ্ছে না এই অ্যাপগুলি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাপগুলির ভারতে কোনও সার্ভার, অফিস, প্রতিনিধি নেই। ফলে কেউ বিপুল টাকা হারালে এবং মামলা করলেও পুলিশের পক্ষে সংস্থাগুলির নাগাল পাওয়া কঠিন। এই একই কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অনলাইন বেটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রও এই বিষয়ে একমত। মোদী সরকারের মতে, এই জাতীয় বেটিং গেমের সমাজে অত্যন্ত ক্ষতিকর আর্থ-সামাজিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষত শিশু ও যুবসমাজ এতে প্রভাবিত হচ্ছে। আরও পড়ুন: SSC-র প্রকাশিত🌟 ‘অযোগ্যদের’ তালিকায় ছিল নাম, নিজেকে শেষ করে দিলেন শিক💟্ষিকা
অল ইন্ডিয়া গেমিং🌳 ফেডারেশন (AIGF)-এর অনুমান অনুযায়ী, প্রতি মাসে ভারতে এই সংস্থাগুলির একাধিক দালালের অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার কোটি টাকা করে জমা হচ্ছে। তবে, এই টাকা শেষমেশ কোথায় যাচ্ছে বা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই সম্পর্কে কোনও স্বচ্ছতাই নেই।