বিশ্বব্যাপী গড়ে ৪৫ শতাংশের তুলনায়, অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় কর্মচারী (প্রায় ৫৬ শতাংশ) বিশ্বাস করেন যে তাঁদের কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অটোমেশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তা𝐆ঁদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা শেখাবে। ভারতীয় সংস্থার ৫০০ জনেরও বেশি কর্মচারী সহ বিশ্বব্যাপী ১২,০০০ সি-স্যুট এক্সিকিউটিভ, এইচআর, কর্মচারী এবং বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ভঙ্গির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা কনসালটিং ফার্ম মার্💙সারের গ্লোবাল ট্যালেন্ট রিপোর্ট, এমনটাই বলেছে।
- ঠিক কী কী বলছে রিপোর্ট
নিউইয়র্ক সিটির সদর দফতর মানব সম্পদ এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থা মার্সার রিপোর্টের নবম বার্ষিক সংস্করণের জন্য ১৭টি দেশ এবং ১৬টি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছে যে, প্রায় ৪৬ শতাংশ ভারতীয় কর্মচারী বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী গড় ৩৭ শতাংশের তুলনায় তাঁদের কোম্পানিগুলো এআই কীভাবে কাজের উন্নতি ঘটাতে পারে তা সম্পর্কে ভালো মতোই জানে। তবে, মাত্র ২৩ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে বিশ্বব্যাপী ১৬ শতাংশের তুলনায়, তাঁদের বসেরা এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন। অন্যান্য দেশের ৪২ শতাংশের তুলনায় ৫০ শতাংশ ভারতীয়ও নিজেদের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে নিয়মিত ফিডব্যাক পেতে চান। চাকরির নিরাপত্তা (৩৭ শতাংশ) এবং কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ (৩৬ শতা🌺ংশ) ভারতীয় কর্মীদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।
কর্মচারীদের চাকরি বজায় রাখা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো আজ কী করছে তা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজন কর্মচারী বিশ্বাস করেন যে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করছেন। জীবনযাত্রার বাড়তেই থাকা খরচ এবং চাকরির অনিশ্চয়তা ভারতীয় কর্মচারীদের জন্য সবচেয়ে বড় উ🌸দ্বেগ, এবং প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা বলেছেন যে আর্থিক চাপ আগামী ১২ মাসে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়তে চলেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধেক কর্মচারীꦚ বলেছেন যে তাঁরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে চান, যেখানে তাঁরা গর্বিত হতে পারেন। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ন্যায্য বেতন এবং উন্নয়নের সুযোগ হল কর্মীদের পাওনা, তাঁদের অধিকার। তাই সমীক্ষার ফলাফলগুলিও দেখিয়ে দিয়েছে যে দ্রুত উন্নতির জন্য বেতনের পরিকাঠমো, কাজের স্বচ্ছতা এবং আসন্ন বছরে কর্মজীবনে নতুন সুযোগ সুবিধা নিয়েও কাজ করা উচিত।
মার্সার ইন্ডিয়ার ট্যালেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন লিডার সুখমিত সিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে, ডিজিটালকে সঙ্গে নিয়ে কর্মক🔯্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া কেবল মাত্র একটি পছন্দই নয়, ব্যবসার জন্য একটি প্রয়োজনীয়তাও বটে। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে, কোম্পানিগুলি আরও উন্নতি করতে পারে, গ্রাহকের ভালো অভিজ্ঞতা আরও বাড়াতে পারে এবং চূড়ান্ত সাফল্যের🎉 পাশাপাশি ভবিষ্যতের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি মজবুত ভিত্তিও প্রস্তুত করতে পারে।'