সোমবার ৩০০ মিটার দূরত্বে ফ্রি কোয়ান্টাম কি শেয়ার করার মাধ্যমে নজির সৃষ্টি করল ইসরো। আহমেদাবাদ স্পেস অ্যাপ্লিকেশান সেন্টারের দুটি ভবনের মধ্যে কোয়ান্টাম-কি এনক্রিপডেট সিগনাল প্রেরণ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির লাইভ ভিডিয়ো কনফারেন্স করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।কৃত্রিম উপগ্রহ ও গ্রাউন্ড স্টেশনের মধ্যে কোয়ান্টাম-কি এনক্রিপটেড ডেটা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে বেশ তাত্পর্যপূর্ণ এই এক্সপেরিমেন্ট। এর মাধ্যমে খুব গোপনে কোয়ান্টাম এনক্রিপটেড মেসেজ লেনদেন সম্ভব হবে।'কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুরক্ষিত স্যাটেলাইট ডেটার মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলস্টোন,' সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই উল্লেখ করেছে ইসরো।কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে যে কোনও ডেটা ট্রান্সমিশান অত্যন্ত্য সুরক্ষিত করা সম্ভব। অন্য কোনও থার্ড পার্টি এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না। যে সকল ক্ষেত্রে তথ্যের আদানপ্রদান ভীষণ সুরক্ষিত হওয়া প্রয়োজন, সেই ক্ষেত্রে এটি নতুন ভবিষ্যতের দিশা দেখাবে। ব্যাঙ্ক, সেনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তথ্যের সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করবে এই প্রযুক্তি। এই ধরণের জটিল এনক্রিপশান ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র কোয়ান্টাম কম্পিউটারের রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ধারণা কেবলমাত্র খাতায় কলমেই রয়েছে। বাস্তবে কোনও দেশই এখনও পর্যন্ত তৈরি করে উঠতে পারেনি। তবে, প্রায় প্রতিটি শক্তিশালী দেশই কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রচেষ্টা করে চলেছে।সাধারণ কম্পিউটারে বিট হিসাবে তথ্য সংরক্ষিত হয়। অর্থাত্ ০ বা ১-এর মাধ্যমে- বাইনারি লজিক মেনে কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিউবিট ব্যবহার করে। প্রোটন বা ইলেকট্রনের মান ০ বা ১ হিসাবে ধরা হয়। এছাড়া ০ ও ১-এর যেকোনও সম্ভাব্য কম্বিনেশন হতে পারে।আপাতত এই প্রযুক্তি আরও দূরবর্তী ক্ষেত্রে প্রয়োগের ভাবনায় ইসরো। দেশের যে কোনও দুটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই পদ্ধতিতে তথ্য আদানপ্রদানই পরবর্তী ধাপের লক্ষ্য।এ ক্ষেত্রে বেশকিছু মেড ইন ইন্ডিয়া প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে ইসরো। NavIC (Navigation with Indian Constellation) নামে একটি রিসিভার প্রস্তুত করেছে ইসরো। এর মাধ্যমে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার মডিউলের মধ্যে সময়ের সিঙ্ক্রোনাইজেশন রক্ষিত হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে স্যাটেলাইট-বেসড পজিশনিং সিস্টেমের ভারতীয় সংস্করণ।