'স্যাটেলাই কমিউনিকেশন লাইস𝕴েন্স' দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মগুলি শিথিল নাকি করার কথা ভাবছে ভারত সরকা💛র। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে মোট ৩০ থেকে ৪০টি লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
এর ফলে ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক এবং জেফ বেজোসের অ্যামাজন কুইপার - এই দুই পক্ষেরই সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সগুলি পাওয়ার পথ আরও কিছুটা প্রশস্থ হবে বলে🐲 মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যারা আগামী দিনে ভারতে স্যাটকম (স্যাটেলাই কমিউনিকেশন) পরিষেবা প্রদান করতে পারে।
এমনটা মনে করার কারণ হল, সম্প্রতি মাস্কের সংস্থার সঙ্গে ভারত সরকারের সহযোগিতামূলক ও যৌথ কর্মকাণ্ডগুলি বেড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম - দিন কয়েক আগেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা - ইসরো-র তৈরি জিস্যাট-২০ উপগ্রহটি মাস্কের সংস্থಞার রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে সেই রকেটের সফল উ𓄧ৎক্ষেপণ করা হয়।
'স্যাটেলাই কমিউনিকেশন লাইসেন্স' দেওয়া নিয়ে যে সমস্ত প্রতিবেদন সামনে এসেছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তিꦚগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি ও নিয়মগুলি কিছুটা শিথিল করা হতে পারে।
সূত্রের দাবি, এ নিয়ে বিস্তারিত ও 🍌গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার জন্য গত ২৯ নভেম্বর একটি বৈঠক করা হয়েছে। সেই বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা এবং টেলিকমিউনিকেশনস বি✃ভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, স্টারলিঙ্ক এবং অ্য়ামাজন, দুই পক্ষই ভারতে টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা প্রদা🍸ন করতে সমান আগ্রহী। কিন্তু, তারা যে আবেদনপত্র জমা করেছে, সেই দু'ট🐎িই ছাড়পত্র পায়নি। এক্ষেত্রে ভারতের নিরাপত্তাজনিত নিয়মাবলী প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে দাবি সূত্রের।
এ নিয়ে মাস্কের সংস্থার বক্তব্য হল, ভারত সরকারের নি💙য়মাবলী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্൩ণ হওয়া উচিত। উল্লেখ্য, এই বিষয়টি নিয়ে গত মাসেই মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছিলেন,ꦰ স্টারলিঙ💖্ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্রগুলি এখনও পায়নি। যখনই তারা ভারতের আইন অনুসারে সেই ছাত্রপত্র অর্জন করতে পারবে, তখনই তাদের ভারতে পরিষেবা প্রদানের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত এই ছাড়পত্র কেবলমাত্র ভারতী এন্টারপ্রাইসেস সমর্থিত ইউটেলস্যাট অনওয়েব এবং রিলায়েন্স জিয়োর কাছে যৌথভাবে রয়েছে। লুক্সেমবার্🤡গের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তারা এই পরিষেবা প্রদানের ছাড়পত্র পেয়েছে।
এদিকে, আগামী দি🐻নে ভারতে এই পরিষেবা প্রদানের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলির জোর প্রতিযোগিতা, ব𝓡লা ভালো - লড়াই শুরু হয়েছে!
ভারতীয় সংস্থাগুলি দেশ𝓀ের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছে, শহুরে অথবা খুচরো গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য, স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টনের প্রক্রিয়াটি যেন কেবলমাত্র নিল💛ামের মাধ্যমেই করা হয়।
যদিও সরকার পক্ষ তাতে পাত্তা দিতে নারাজ। তাদের বক্তব্য প্রশাসনিক স্তরেই এই পরিষেবা প্রদানের জন্য সংশℱ্লিষ্ট সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে এবং তার জন্য সꦿেই সংস্থাকে আর্থিক মূল্য চোকাতে হবে।