ভারতের পর আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ করা হবে টিকটক! চাপে পড়তে পারে🐻ন ১৭০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। প্রথম সংশোধনীর ভিত্তিতে বিল এনেছিল আমেরিকা। এদিকে বুধবার টিকটকের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন যে এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত আইন মানছেন না। আইনটি ব্লক করার দিকে এগিয়𝔉েছেন তিনি। টিকটক আমেরিকায় আইনি চ্যালেঞ্জ জিতবে বলে আশাও রেখেছেন তাই।
সম্প্রতি বাইডেনের স্বাক্ষরিত বিলে বলা হয়েছিল যে হয় টিকটক এর চিন ভিত্তিক মূল সংস্থা বাইটড্যান্সকে ২৭০ দিনের মধ্যে তার মার্কিন সম্পদ বিক্রি করতে হবে, আর না হয় টিকটককেই আমেরিকা থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। এরই পাল্টা নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন টিকটক সিইও শৌ জি চিউ। একটি সাম্প্রতিক বিবৃতিতে, তিনি বলেছেন যে কোম্পানি সফলভাবে নতুন আইনের বিরুদ্ধ♔ে লড়াই করবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপের সফল কার্যক্রমকে হুমকি দেয়।
শৌ জি চিউ প্ল্যাটফর্মের ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান ক্রিয়েটরদের আশ্বাস দিয়ে এও বলেছেন যে নিশ্চিত থাকুন - আমরা কোথাও যাচ্ছি না। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন টিকটকের বিরোধিতায় বিলটি উত্থাপন করার পরপরই প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে তিনি এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন। সিইও তার বিশ্বাসে অটল রয়েছেন 🧜যে এই আইনি লড়াইয়ে টিকটক উপরে রয়েছে। তাঁর দাবি, তথ্য এবং সংবিধান আমাদের পক্ষে রয়েছে এবং আমরা আবার জয়ী হওয়ার আশা রাখছি। টিকটক কোম্পানির বিধিনিষেধকে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যাবে।
আসলে, টিকটকের মাধ্যমে চিন আমেরিকার আমজনতার ডেটার উপর 🤡নজর রাখছে বলে উদ্বে♋গ প্রকাশ করছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। চিনও কিন্তু একই বিষয়ে সন্দিহান। গত সপ্তাহে, অ্যাপল বলেছে যে চিনের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নিজেদের অ্যাপ স্টোর থেকে মেটা প্ল্যাটফর্মের হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে চিন। এদিকে আমেরিকা থেকে টিকটক সরে যাওয়াটা মেনে নিতে নারাজ সে দেশের একাংশ। জানা গিয়েছে যে প্রথম সংশোধনীর ভিত্তিতে বিলটিকে টিকটক চ্যালেঞ্জ করতে ছোঁড়ার পাশাপাশি টিকটক ব্যবহারকারীরাও আবার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এদিকে বাইটড্যান্স টিকটকের আমেরিকান সম্পত্তি যদি বিক্রি না করে তবে, অ্যাপল, অ্যালফাবেটের গুগল এবং অন্যদের দ্বারা পরিচালিত অ্যাপ স্টোরগুলি আইনত টিকটক অফার করতে পারবে না বা বাইটড্যান্স নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ্লিকেশন বা টিকটকের ওয়েবসাইটে ওয়েব হোস্টিং পরিষেবাও সরবরাহ করতে পারবে না। এদিকে টিকটকের ৮০০০ কর্মী ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ ইয়র্কে রয়েছেন। আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ তাঁরাও চাকরি হারাতে পারেন। তাই ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট𝓰 সিনেটর ল্যাফোনজা বাটলার, হোয়াইট হাউসকে টিকটকের মার্কিন কর্মচারীদের ভাগ্য বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও একটি উল্লেখযো▨গ্য বিষয় হল নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাইডেনের টিম টিকটক ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বুধবার একজন প্রচার কর্মকর্তা এমনটাই বলেছেন। যদিও ট্রাম্পের টিম প্রচারণার জন্য টিকটকে যোগ দেয়নি। এবার সময় বলবে,﷽ আমেরিকায় টিকটকের পরিণতি কী হতে পারে।