গলায় তাঁর মুণ্ডমালা। কোমরের কটিবন্ধ তৈরি রক্তাক্ত ছিন্ন হাত দিয়ে। করালরূপী মা কালীর পোশাক বলতে এই। হিন্দু দেবদেবীদের প্রায় প্রত্যেকেরই রয়েছে পোশাক। কিন্তু মা কালীর অঙ্গে নেই কোনও বসন। তাই তাঁকে দিগম্বরীও বলা হয়। কিন্ত💞ু কেন তাঁর অঙ্গে কোনও পোশাক নেই? কেন তিনি ব🌄িবসনা? কী বলছে তাঁর উদ্ভবকাহিনি?
(আরও পড়ুন: বিপ্লবীদের ‘মা’ আজও পূজিত হন স্বমহিমায়! সুভཧাষচন্দ্রের উদ্যোগেই শুরু এই পুজোর)
‘কাল’ অর্থাৎ সময় থেকে ‘কালী’ শব্দটির উৎপত𒅌্তি। যিনি কালের নিয়ন্তা, তিনিই কালী। তিনি অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ তিন কালেই যাতায়াত করতে পারেন। কালের নিয়ন্ত্রণ তাঁর 🌟হাতে। ত্রিনয়নী কালীর তিন নেত্রও তাই কালের পরিচায়ক। আবার তাঁর এই তিন চোখেই রয়েছে সত্য, শিব এবং সুন্দরের দৃষ্টি। মা কালীর এই ক্ষমতার মধ্যেই লুকিয়ে তাঁর বিবসনা হওয়ার ব্যাখ্যা।
কালীসাধক তাঁর গানে বার বার বলছেন, ‘বসন পরো মা’। ভক্ত যতই দেবীর কাছে এমন প্রার্থনা করুন, শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথাই বলছে। তাতে বলা হয়꧑েছে, মা কোনও পোশাক পরিধান করবেন না। মায়ের বিবসনা রূপের সঙ্গে জড়িয়ে রꦐয়েছে এক গভীর আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা।
(আরও পড়ুন: রামায়ণ-মহাভারতে༒ও দীপাবলির মাহাত্ম্য অসীম! মহাকাব্যের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে দি✤নটি)
পুরাণে মা কালীর যে বর্ণনা রয়েছে, তাতে দেখা যায় তাঁর চার হাত। চার হাতে রয়েছে খড়্গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বরদান ও অভয়মুদ্রা। মায়ের গলায় নরমুণ্ডমালা। বিরাট জিভ, শ্যামবর্ণা। ভগবান শিবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই প্রচণ্ডা 🔥কালী। তিনি আদতে শক্তির প্রতীক। আর তাই নাকি তিনি নগ্নিকা।
অন্যদিকে শাস্ত্র মতে, দেবী প্রচণ্ড শক্তি🌱ধর। তাঁকে ধারণ করার মতো পোশাক নেই জগতে। কারণ পোশাক বা বসন এমন এক জিনিস, যা কোনও কিছুর আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ যার আচ্ছাদন হতে হবে, তাকে ঢেকে রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে পোশাকের। কিন্তু মা তো সর্বশক্তিমান। তিনি নিজেই সব কিছুকে ধারণ করেছেন। মা যখন নিজেই প্রকৃতি, তখন তাকে ঢাকবে কোন উপাদান? তাই তিনি নগ্নিকা, বিবসনা।
অন্যদিকে শাඣস্ত্র মতে, মা কালীর বর্ণনা রয়েছে অনন্ত রূপে। তিনি যেমন একাধারে বিনাশকারী, তেমনই সৃষ্টিকারী। তিনি তাই অনন্ত অসীম তিনি। মা একাধারে ভক্তদের রক্ষা করেন, তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন, আবার প্রয়োজনে দুষ্টের দমন করেন। তাই তাকে ধারণ করবে কে? সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর বিবসনা রূপ।