পিতৃপক্ষ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হতে চলেছে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি আপনার পূর্𒆙বপুরুষদের পিন্ডদান দান করতে চান, তবে তার জন্য গয়া, নৈমিষারণ্য, বদ্রিধাম, হরিদ্বার, কাশী, প্রয়াগরাজ, পুষ্কর, ত্রিম্বকেশ্বর প্রভৃতি তীর্থস্থানগুলি সর্বোত্তম পৈতৃক স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। পৈতৃক কাজ করা এবং পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই স্থান গুলি বিশেষ।
গয়া - পিতৃতীর্থ গয়ার মহিমা ও বিশেষত্ব এতটাই যে, বাড়িতে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠা♏ন যতই করা হোক না কেন, শ্রাদ্ধ শুরু করার আগে গয়াধাম এবং ভগবান গদাধরকে স্ম🧔রণ করা হয়। এতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের ফলাফল গয়াতে করা শ্রাদ্ধের সমান বলে বিবেচিত হয়।
বদ্রিধাম - বদ্রীনাথ ধামে ব্রহ্ম কপাল তীর্থ রয়েছে, এখানে তীর্থযাত্রীরা পিন্ড দান প্রদান করেন। বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শঙ্কর যখন ব্রহ্মার পঞ্চম মস্তক কেটেছিলেন, তখন তা তাঁর হাতে আটকে যায়, যখﷺন ভগবান শঙ্কর সমস্ত তীর্থস্থানে বিচরণ করতে করতে এখানে আসেন, তখন তাঁর হাতে আটকে থাকা মাথার খুলিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিথিল হয়ে পড়ে যায়। এই এলাকায় পিন্ডদানের ব♓িশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে যে যদি কোনও পূর্বপুরুষের পিতৃকর্ম গয়া এবং অন্যান্য পৈতৃক তীর্থস্থানে করা হয়, তবে শেষে এই তীর্থস্থানে এসে পিন্ড দান করা উচিত। বদ্রী এলাকার ব্রহ্ম কপাল এলাকাতে পিন্ড দান করার পর অন্য কোথাও পিন্ড দান করা নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।
নৈমিষারণ্যতে করা শ্রাদ্ধ পূর্বপুরুষদের তৃপ্তি প্রদান করে- নৈমিষারণ্য ভগবান শঙ্করের অত্যন্ত প্রিয় স্থান। কূর্মপুরাণের বর্ণনা অনুসারে এ🔯খানে করা প্রতিটি তপস্যা, শ্রাদ্ধ, যজ্ঞ, অন্নদান ইত্যাদি সাত জন্মের পাপ বিনষ্ট করে। নৈমিষারণ্য তীর্থ অনেক ধর্মীয় কাজের জন্য পরিচিত যেখানে পিতৃপক্ষে এই তীর্থযাত্রার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্বাস অনুসারে, নৈমিষারণ্যে পিন্ডদান নিবেদন করলে পূর্বপুরুষদের ক্ষুধা মেটে।
প্রয়াগরাজ - পণ্ডিতদের মতে, গয়া যাওয়ার আগে প্রয়াগে আসা সেরা ফল দেয়। ধর্মীয় শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে কাশীতে দেহত্যাগের গুরুত্ব, কুরুক্ষেত্রে দান এবꦅং গয়ায় পিন্ডদানের গুরুত্ব প্রয়াগে মুন্ডন সংস্কার না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
অন্যান্য তীর্থস্থান - অযোধ্যা, উজ্জয়িন, অমরকন্টক, হরিদ্বার, নাসিক, পুষ্কর, তিরুপতি, শিবের নগরী, কাশী, আত্মাকে মোক্ষ প্রদান করে। সত্যিকারের চিত্তে পূর্বপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং গঙ্গার মতো যে কোনও পবিত🅷্র নদীর তীরে বা যেকোনও তীর্থস্থানে তর্পণ ও পিণ্ডদান নিবেদন করলে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট ও মুক্ত হন, যা সমগ্র পরিবারের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।