চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজো হয়। বহু জায়গায় এই দিনে মেলা বস𝐆ে এবং কয়েক দিন ধরে চলতে থাকে এই মেলা। শিবের গাজন হয় এই মেলায়। পাশাপাশি চড়কের দিনে শরীরে বাণবিদ্ধ ক🌼রে ঝোলেন সন্ন্যাসীরা। কী কী রীতি আছে এই পুজোয়? জেনে নিন।
পুজোর শুরুতে শিব পাঁচালী পড়ার রীতি। পুরোহিত এই মন্ত্র পড়া শুরু করলে সন্ন্যাসীরা মহাদেবের নামে ধ্বনি দিতে দি▨তে নদীতে গিয়ে স্নান করেন। স্নানের পরে তাঁরা মাটির কলসিতে করে জল ভরে আনেন। এর পরে চড়ক গাছের গোড়ায় সমবেত হন সন্ন্যাসীরা। সেখানেই শুরু হয় মূল কাজ।
এক দিকে শিব পাঁচালী পাঠ চলতে থাকে। ভক্ত ও সন্ন্যাসীরা চড়ক গাছে জল ঢেলে প্রণাম করে অন্য জায়গায় চলে যান। সেখানেই তাঁদের বাণবিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সন্ন্যাসীরা নিজের শরীর বড়শিতে বিদ্ধ করে চড়কগাছে ঝুলে ঘুরতে থাকেন। অনেকে আবার সন্ন্যাসীদের আর্শীবাদের জন্য শিশুদের তাঁদের কাছে নিয়ে যান। এটিই হল চড়কের মূল অনুষ্ঠান। কুমির পুজো, জ্বলন্ত কয়ল𒅌ার উপর দিয়ে হাঁটা, ধারালো কিছুর উপর লাফানো, অগ্নিনৃত্য ইত্যাদি এই পুজোর বিশেষ অঙ্গ হিসাবে আগে পালন করা হত। এখন এই বিপজ্জনক কাজ তুলনায় কমে গিয়েছে।
সন্ন্যাসীরা ঘ𒁃ুরতে ঘুরতে কখনও কখনও শিশুদের মাথায় হাত দিয়ে আর্শীবাদ করেন। এই অবস্থায় তাঁরা এক হাতে বেতের তৈরি বিশেষ লাঠি ঘোরাতে থাকেন এবং অন্য হাতে দর্শনার্থীদের দিকে বাতাসা ছুঁড়ে দেন। সাধা𒉰রণ মানুষের বিশ্বাস, এ জগতে যাঁরা মহাদেবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য স্বেচ্ছায় এমন কঠিন আরাধনার পথ বেছে নেন, তাঁরা মহাদেবের আশীর্বাদে মৃত্যুর পরে স্বর্গলাভের সুযোগ পান।
(আরও পড়ুন: চৈত্র সংক্রান্তিতে কেন হয় চড়কের পুজো? ব্রিটিশরা কেন এর অনেক প্রথা বন্ধཧ কর🔯েছিল)
এই চড়ক পুজোই হল গম্ভীরা এবং শিবের গাজনের রকমফের। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। আবার এই পুজোরই আর এক অঙ্গের নাম নীলপুজো। পুজোর ♚আগে চড়কগাছের তল এবং চড়কগাছটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নেওয়া হয়। এরপাশেই একটি পাত্রে জল ভরে তাতে শিব ঠাকুরের মূর্ত প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখা হয়। তবে অনেক সময় আবার 🌟একটি লম্বা কাঠের তক্তায় সিঁদুর মাখিয়েও রাখা হয়, যাকে বলা হয় ‘শিবের পাটা’। আর এটাই সকলের কাছে ‘বুড়োশিব’ নামে প্রচলিত।