কখনও তিনি 🌞‘গুড় বাতাসা’র নিদান দিয়েছেন, আবার কখনও তাঁর মুখে ‘নকুলদানা’র বুলি শোনা গিয়েছে। ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো’ নিয়ে তাঁর মন্তব্য একটা সময় ভাইরাল হয়েছে। এবার বীরভূমে ফিরে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল শোনালেন ‘চা খাওয়ানোর’ কথা। ঠিক কী নিয়ে 'চা' প্রসঙ্গ তুললেন কেষ্ট মণ্ডল?
বিজেপি একটা সময় ‘চায়ে পে চর্চা’ নিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে। এছাড়াও একটা সময় দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে𓃲র কনভয় থামিয়ে বহু জায়গায় নিজে চায়ের দোকানে গিয়ে চা বানিয়েছেন। কথা হয়েছে চা নিয়ে। এদিকে, সদ্য বীরভূমের খয়রাশোলে বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। সেই সভায় মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন অনুূব্রত মণ্ডল। তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি বিধায়ক নই, আমি সাংসদ নই। আপনাদের মতো কর্মী। আপনারা যেমন বুথের কর্মী, তেমনই আমিও বুথের কর্মী। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি মা বোনেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন।’ অনুব্রত মণ্ডল এদিন একসঙ্গে মিলে মিশে সকলকে কাজ করার কথা বলেছেন। পঞ্চায়েত প্রধানদের উদ্দেশে তিন𓆉ি বলেন, সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করার কথা। এবিষয়ে কিছু পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘যদি কোনও মানুষ কাজ করতে চায়, তার সঙ্গে বসবেন। কোনও দল করে দেখবেন না। তাঁকে অপমানজনক কথা বলবেন না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। কেন আপন করতে পারব না?’ অনুব্রতর সাফ কথা ‘খ্যাঁক খ্যাঁক করবেন না। পঞ্চায়েতের মেম্বার হলে আপনিই সেই এলাকার অভিভাবক। আপনি কাউকে বকে ফেললে.. কাছে ডাকবেন আর এক কাপ চা খাইয়ে দেবেন।’
লিড বেঁধে দিয়েছেন কেষ্ট…
এর আগে গত শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের ১ ব্লকের এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত ছাড়া সেই বিজয়া সম্মিলনীতে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেই সভায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। তিনি ওই মঞ্চ থেকে ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যা▨য়কে সাফ জানিয়ে দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩০ হাজার ভোটের লিড দিতে হবে।