তমলুকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল🦩 এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মন্ডলের নাম ব্যবহার করে ওই পরিমাণ অর্থ প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম জগন্নাথ জানা। তিনি দুর্গাচক থানা এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ শেঠের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে ধাপে ধাপে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন ওই ব্যক্তি। কিছুদিন আগে বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে লক্ষ্মণ শেঠের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে অনুদানের আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে খবর, তুষারের নাম এবং তাঁর গলার স্বর নকল করে প্রথমে দু লক্ষ টাকা অনুদান চান ওই ব্যক্তি। সেইমতো গত ৫ এপ্রিল ২ লক্ষ টাকা সংস্থা থেকে নিয়ে যান জগন্নাথ জানা। অভিযোগ, এরপর গত পরশু ওই ব্যক্তি ফের তুষারের নাম করে চিকিৎসার জন্য তিন লক্ষ টাকা অনুদান চান। সেই সময় ফোন ধরেছিলেন সংস্থার সম্পাদক আဣশিস লাহিড়ী।আর তখনই ব্যক্তির ফাঁদ বুঝতে পারেন সংস্থার সম্পাদক।
ফোনের ওপারে থাকা ওই ব্যক্তির গলার স্বরের মিল তুষার বাবুর সঙ্গে খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহ হয় আশিস বাবুর। তখন তিনি সরাসরি তুষার বাবুকে ফোন করে অনুদান চাওয়ার বিষয়টি জানতে চান। তুষার মন্ডল বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। তখনই হলদিয়া𝓰 থানায় সংস্থার♓ পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। অন্যদিকে, এই অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ প্রতারককে ধরার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে টাকা দেওয়ার ফাঁদ পাতে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারক টাকা নিতে গেলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফ💞েলে পুলিশ। এ বিষয়ে তুষার মন্ডল জানান, ‘আমি বিষয়টি জানার পরেই জেলা পুলিশ সুপারকꦍে ফোন করে সমস্ত কথা জানায়।’ ধৃত ব্যক্তি আর কোথায় এই ধরনের কাজ করেছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।