বাজ পড়ে দুই জেলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, খোলা জায়গায় নয়, ঘরের মধ্যে থেকেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। একজনের মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট এলাকায়। অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে পিংবনিতে। দুটি ঘটনাতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা যায়, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের টোটোচালক উমেশ যাদব বুধবার বিকেলে তিন বন্ধুর সঙ্গে গ্যারেজের মধ্যে ছিলেন। সেখানেই আচমকা বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন উমেশ। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী মৃত উমেশের এক বন্ধু সঞ্জীব কর্মকার জানান, 'প্রচণ্ড বৃষ্টিতে গ্যারেজের ভিতরে জল জমে যায়। উমেশ টোটোতে বসেছিল। আচমকা বাজ পড়ার পর দেখতে পাই উমেশ টোটো থেকে পড়ে গেল। দেখলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে উমেশ।' গ্যারেজের মালিক পার্থ দাস অবশ্য তখন ছিলেন না। তিনি কাছেই তাঁর বাড়িতে ছিলেন। গ্যারেজে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে তিনি দেখতে পান, তিন জন দরজা খোলার জন্য গেটের সামনে এসে চিৎকার করছে। তাঁদের থেকেই জানতে পারেন, উমেশ জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। চ্যাটার্জিহাটের ঘটনার মতো একইরকম ঘটনা ঘটে গোয়ালতোড়ের পিংবনিতে। ৩৫ বছর বয়সি অজয় সোরেন বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ির ভিতরে থেকেই বজ্রঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চলতি বছরে বজ্রাঘাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জন। তবে যেভাবে বর্ষার সময়ে বজ্রঘাতে মৃত্যু হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। অত্যাধিক দূষণের কারণেই এই বজ্রাঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে।