মহালয়ার সকালে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। তর্পণের সময় তলিয়ে গেল বেশ কয়েকজন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তর্পণের সময় রাজ্যের ৩ জেলায় তলিয়ে গেল ৭ জন। ঘটনাগুলি ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিট ঘাট, পশ্চিম বর্ধমানের শিবপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির গিরি বালা ঘাটে। ঘটনায় এখনও দুজ🌳ন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দামোদরে স্নান করতে নেমে সব শেষ, তলিয়ে গেল ৩ ছাত্র
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে উত্তরপাড়া হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিট ঘাটে তর্পণের জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। সেই সময় স্নান করতে নেমে কয়েকজন গঙ্গার বানে তলিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ জন বানের জলে ভেসে যান। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ পৌঁছয়। চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ, এসিপি আলি রাজা ও উত্তরপাড়ার আইসি ঘটনাস্থলে পৌছন। এছাড়াও, উত্তরপা🍌ড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবও সেখানে♊ পৌঁছন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ আগে থেকে সতর্ক করেনি। বান যখন কাছে এসে যায় তখন বাঁশি বাজানো হয়।ফলে জলে স্নান করতে নামা লোকজন ভেসে যান। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এখনও দুজন নিখোঁজ আছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বহিনী নামানো হয়েছে।
এদিকে, একই ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানের কাঁকসার শিবপুরে। অজয়ের জলে তর্পণের জন্য নেমে তলিয়ে যান এক প্রৌঢ় । প্রৌঢ়ের নাম শ্রীধর চ্যাটার্জি (৬৫)। তিনি কাঁকসার༒ বামুনারার বাসিন্দা। জানা যায়, তিনি ৬ বন্ধুর সঙ্গে শনিবার সকালে শিবপুরের অজয় নদে তর্পনের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। অজয় নদে নেমেই তলিয়ে যায় ওই প্রৌঢ়। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের পর গভীর গর্তে পরিণত হয়েছে শিবপুরের অজয়ের ঘাট। সেই গর্তের কারণেই তিনি তলিয়ে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে তলিয়ে যান এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে তিনি পানিহাটি গিরি বালা ঘাটে তর্পণ করতে গিয়েছিলেন।🌠 ওই ব্যক্তির নাম শেখর মণ্ডল । তিনি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে।
এনিয়ে প্রশাসন❀ের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন হুগলির বিজেপি নেত𝔉া পঙ্কজ রায়। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আগে থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়নি। যদিও উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, ‘আজকে একটা শুভদিনে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কার দোষ কার গুণ সেটা এখন বিচার করার সময় নয়। যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের যেমন দায়িত্ব থাকে তেমনি যারা নদীতে নেমে স্নান করেন তাদেরও একটা দায়িত্ব থেকে যায়।’