১৮ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দিলে⛎ন সত্যজিৎ রায়ের দুর্গা ওরফে উমা দাশগুপ্ত। তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে শোক❀াহত সাধারণ মানুষ থেকে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। তাঁর স্মৃতিতে বুঁদ তাঁর কর্মক্ষেত্রও, অর্থাৎ যাদবপুর বিদ্যাপীঠ।
কী বলছেন উমা দাশগুপ্তর সহকর্মীরা?
১৯৮৪ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা ছিলেন। অঙꦺ্ক এবং ইংরেজি পড়াতেন। ছাত্রদের দারুণ ভালোবাসতেন। এত বছর আগে রিটায়ার করা সত্ত্বেও স্কুলের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ছিল তাঁꦇর। উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুতে তাঁর স্মৃতি রোমন্থন করছেন সেখানকার শিক্ষিকারা।
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেখানকার ♏শিক্ষিকা শম্পা দাস জানিয়েছেন, 'আমি তখন সবে সবেই স্কুলে যোগ দিয়েছি, ওঁর আর কয়েক মাস বাকি ছিল অবসর নিতে। বাইরে থেকে ওঁকে ক্লাস নিতে দেখে মনে হয়েছিল ইনিই পথের পাঁচালির দুর্গা? প্রথমে ভেবেছিলাম বুঝি খুব রাশভারী মহিলা, পর বুঝি উনি কীভাবে ছোটদের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন।'
তিনি আরও জানান স্কুলে বারবার পথের পাঁচালি নিয়ে উত্তর দিতে পছন্দ করতেন না। কিন্তু তবুও মাঝে মধ্যে গল্পের ছলে সেই ছবির শ্যুটিংয়ের সময়কার অজানা কথা বলতেন। জানিয়েছিলেন গ🐼্রামের মিষ্টি বিক্রেতার পিছনে অপু দুর্গার সঙ্গে যে কুকুরটি যাচ্ছিল সেটার নেপথ্যের কাহিনি। কীভাবে সত্যজিৎ উমা দাশগুপ্তর হাতে একটি মিষ্টি ধরিয়ে দিয়েছিলেন যাতে সেটার লোভে কুকুরটি তাঁর পিছু পিছু যায়।
উমা দাশগুপ্ত সবসময়ই 𒐪তাঁর সহশিক্ষিকাদের বলতেন যাতে তাঁরা ছাত্রদের সন্তান মতো দেখেন। অবসর নেওয়ার পরও বারবার স্কুলে যেতেন। যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাই সেখানকার শিক্ষিকাদের কথায়, 'উমাদির মৃত্য꧑ু হলেও সেই চৌদ্দ বছরের দুর্গার মৃত্যু হয়নি।' চাইলেই তাঁকে পথের পাঁচালিতে দেখা যাবে।
উমা দাশগুপ্তর প্রয়াণ
পথের পাঁচালির দুর্গার𓆏 জীবনাবসান ঘটল ১৮ নভেম্বর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এদিন থামল সেই লড়াই। উমা দাশগুপ্তর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।