ভ্যালেন্টাইনস ডে এলে অনেকেরই মনে হয় ভালোবাসার মানুষকে কিছু একটা দিই। কিন্তু সাধ থাকলেও অনেক সময় সাধ্যে কুলোয় না। তবে 💦জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দা নিতাই চন্দ্রের গল্পটা একটু অন্যরকম। তাঁরও ইচ্ছা এই প্রেমের দিনে ভালোবাসার মানুষকে কিছু একটা দিই। তবে তাঁর ভালোবাসার মানুষ কিন্তু তাঁর স্ত্রী। তবে ভাগ্য মনে হয় একটু বেশি মাত্রায় সহায় ছিল এবারের প্রেম দিবসেജ।
এই প্রেম দিবসে কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন নিতাই। রাতারাতি কোটি পতি হয়ে গেলেন কাপড়ের দোকানের সামান্য কর্মচারী। মাস গেলে বেতন ৭ হাজার টাকা। এই টাকায় বেশ টেনেটুনেই সংসার চলে। মাঝেমধ্য়েই ভাগ্য ফেরানোর আশায় লটারিতে টিকিট কাটতে🐲ন তিনি। সেই মতো ৬০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন তিনি। আর পাঁচটা দিন যেমন কিছু মেলে না এবার কিন্তু তেমনটা হল না। শুক্রবার নিতাই জানতে পারেন লটারিতে তাঁর কাছে থাকা টিকিটেই এসেছে প্রথম পুরস্কার। এক টাকা দু টাকা নয়, একেবারে এক কোটি টাকা। দোকানে বসেই জ🦄ানতে পেরেছিলেন তার টিকিট জেতার খবর। আর দেরি করেননি।
সুখবর জানতে পেরেই সোজা বাড়িতে। ভালোবাসার দিন বলে কথা। ভাগ্য ফিরতে চলেছে নিতাইয়ের। আর সেই সুখের দিনে স্ত্রীকে ভোলেননি নিতাই। সেই স্ত্রীর হাতেই জয় পাওয়া লটারির টিকিট তুলে দিলেন নিতাই। আসলে জীবনের চলার পথে অনেক ꦓসুখ দুঃখে যে মানুষটা পাশে রয়েছেন, শত অভাবের মধ্য়েও যে মানুষটা বার বার পাশে থেকেছেন, সেই স্ত্রীর হাতেই কোটি টাকা🦩র লটারির টিকিট তুলে দিলেন নিতাই। তবে কোটি টাকার লটারি জিতেও তিনি দোকানের কাজটা এখনই ছাড়তে রাজি নন।
জীবনে অনেক কষ্ট দেখেছেন তিনি। একটা সময়ে মেয়ের কলেজের ফি দিতে পারেননি। তবে এবার তিনি লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই হয়তো এবার জীবনে অভাব মিটবে। সুখের দিন আসন্ন। তাই এবার সুখের দিনেও তিনি পাশে নিলেন স্ত্রীকেও। এই সৌভাগ্যের অংশীদার তো তাঁর স্ত্রীও। স্ত্রী লক্ষ্মী চন্দের হাতে কোটি টাকা🔥র লটারির টিকিট তুলে দেন তিনি।
তবে এখানেই শেষ নয়। কোটি টাকার লটারি জেতা মানে তো রাতারাতি বড়লোক হ🐽য়ে যাওয়া। সেক্ষেত্🌼রে এখন তো নিতাই আর অভাবী, গরিব নন। তিনি দ্রুত থানায় চলে যান। সুরক্ষা চান তিনি।