𓆏আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরে শেষ হবে পূর্ণ যোগ, সমাপ্ত হবে মহাকুম্ভের মেলা। ১৪৪ বছর পর যে মহাযোগ তৈরি হয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাবে এই শিবরাত্রির দিনই। তাই দেশ-বিদেশের নানা ক্ষেত্রের বিখ্যাত সব ব্যক্তিরা ত্রিবেণী সঙ্গমে এসেছিলেন পুণ্যস্নান করতে। আর এবার স্নান করতে এসেছিলেন 'অনুপমা' ধারাবাহিক খ্যাত রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়।
♓বর্তমানে প্রয়াগরাজে চলছে এই মহাকুম্ভ মেলা। অভিনেত্রীও স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে এই মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছিলেন। স্বামী অশ্বিন ভার্মা এবং তাঁদের ছেলে রুদ্রাংশকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে অভিনেত্রীকে পুণ্যস্নানে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে।
꧑তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে রূপালি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এই প্রবিত্র স্নানের ছবি ও ভিডিয়োয় তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন। তবে কেবল সঙ্গমে পুণ্যস্নানের ছবি নয়, সেখানে পূজার্চনা থেকে শুরু করে সেই পর্যন্ত যাওয়ার নানা মুহূর্তের ছবি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নায়িকা।
আরও পড়ুন: 🐻বড় ঝড় কাটিয়ে ছোট ছেলে জেহের জন্মদিনের উদযাপনে মাতলেন সইফ-করিনা! জানেন কী থিম ছিল?
🎐মহাকুম্ভে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গেও নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, 'বিশ্বাসের যাত্রা…, সারাজীবনের জ্ঞানের অভিজ্ঞতা..., জীবনের স্মৃতি...। রুদ্রাংশ এবং অশ্বিনের সঙ্গে এই অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা এবং মা গঙ্গার বিশালতা, উদারতা এবং শক্তি অনুভব করা একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল যা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আত্মায় অঙ্কিত থাকবে। মহাকুম্ভে, আমরা কেবল গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমে ডুব দেইনি, নিজেরা ভক্তি, বিশ্বাস এবং অলৌকিক শক্তিও অনুভব করেছি। মহাকুম্ভ , হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব ।
𝓰তাছাড়াও তিনি তাঁদের মহাকুম্ভে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় দিনের নানা ছবি ভাগ করে নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গঙ্গা -স্নান। মাঘি পূর্ণিমার ব্রাহ্ম মুহুর্তে, আবারও গঙ্গায় ডুব দিলাম, পরিবারের সকল সদস্য ও বন্ধুদের নামে…। প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল কিন্তু ধর্মের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসের শিখা মনের মধ্যে জ্বলছিল এবং তা চিরকাল জ্বলবে।’
আরও পড়ুন:♛ 'এস এস রাজামৌলির সিনেমায় যুক্তি নেই…', কেন এমন দাবি করলেন করণ
🧔তাছাড়াও আরও বেশ কিছু ছবি ভাগ করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘অতিপ্রাকৃত, অবিস্মরণীয়, আশ্চর্যজনক, চিরন্তন, মা গঙ্গা, মহাকুম্ভ, মহাকুম্ভ, শাহি স্নান ১২-০২-২০২৫। পরিবারের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরে আমি ধন্য। আমরা এতটাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলাম যে আমরা স্নানের সময় প্রথাগত ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই পর্দাগুলো আঁকড়ে ধরে... বিশ্বাস, মানুষ, ধর্ম, শক্তি সব জুড়ে এবং অপ্রতিরোধ্য দেবত্ব। হর হর গঙ্গে। হর হর মহাদেব।’ তাছাড়াও তিনি ভাগ করে নিয়েছিলেন যে তিনি পবিত্র ত্রিবণী থেকে পবিত্র জল সঙ্গে করে এনেছেন।