স্বপ্ন ছিল বাইকে চড়ে লাদাখ যাওয়ার। কিন্তু, চায়ের দোকানি বা𓂃বার পক্ষে ছেলেকে মোটর বাইক 🐽কিনে দেওয়ার সাধ্য ছিল না। তাই বলে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন যে ভেঙে যাবে পারে তা মেনে নেননি ছেলে। তাই পায়ে হেঁটেই লাদাখের উদ্দেশ্যে পাড়ি এবং শেষমেষ স্বপ্ন পূরণ করতে সফল হলেন সিঙ্গুরের বাসিন্দা মিলন মাঝি। প্রায় হাজার পথ পায়ে হেঁটে ৮৩ দিনের মাথায় লাখাদ পৌঁছে দেখিয়ে দিলেন এই যুবক। ছেলের স্বপ্ন পূরণে বেজায় খুশি তার বাবা।
মিলনের বাবা অনিল মাঝির একটি চায়ের দোকান রয়েছে। কিন্তু, অভাবের সংসারে তার পক্ষে ছেলেকে বাইক কিনে দেওয়া সম্ভব ছিল না। মিলনও একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি রানীগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করতেন। তবে লকডাউনের পর তার চাকরি চলে যাওয়ার পর কামারকুন্ডুতে বাবার চায়ের দোকানে বসা শুরু করে। সেখানে তিনি মাঝেমধ্যেই বাইকে চড়ে বাবাকে লাদাখে যাওয়ার স্বপ্নের কথা জানতেন। তবে সত্যি সত্যিই যে ছেলে একদিন লাদাখে গিয়ে স্বপ্ন পূরণ করবে তা জানা ছিল না তার বাবার। অনিলেনর কথায়, ‘ আমি জানতাম যে ছেলে রানীগঞ্জে একটা কারখানায় কোনও একটা কাজ খুঁজতে যাচ্ছে। পরে ফেসবুকে ছবি দেখে জানতে পারি যে ছেলে লাদাখ যাচ্ছে। 🌜লাদাখে গিয়ে ছেলে আমাকে ফোন করেছিল। ছেলের স্বপ্ন পূরণে আমি খুবই গর্বিত।’
তার বাবা জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিল মিলন। মিলনের জন্য গর্বিত তার মা চন্ডী মাঝি। তিনি বলেন, ‘ছেলে লাদাখে গিয়ে বরফে জাতীয় পতাকা পুঁত🍬ে দেওয়ার পরেই আমার বুকটা গর্বে ভরে গিয়েছিল।’ তার মায়ের কথায়, ‘যখন ফেসবুকে তার লাদাখ যাওয়ার ছেলের লাদাখ যাওয়ার কথা লোকজন জানতে পারল তখন অনেকেই ছেলেকে পাগল বলেছিল।’
মিলনের কথায়, ‘আমি বাইকে যাত্রা করার খুব শখ। তবে অর্থের অভাবꦚে বাইক কিনতে পারিনি। তার ওপর বয়স কম থাকায় আমি ভাবলাম দেখি না হেঁটে যেতে পারি কিনা।’ গত ১৫ মে লাদাখের খারদুংলা গিরিপথে পৌঁছে বাড়িতে ফোন করে মিলন তার স্বপ্ন পূরণের কথা জানায়।