উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষিকা শিক্ষার্থী ববিতা দত্তের আত্মহত্যার ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। দফায় দফায় বিক্ষোভ চালিয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এবার অভিযুক্ত অ🤡ধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের ধর্না কর্মসূচি শুরু করল এবিভিপি।
আরও পড়ুন: ছাত্র-মৃত্যুর ন’মাস পার,অবশেষে ঠান্ডাঘর থেকে যাদবপ♈ুরের কর্মসমিতিতে তদন্🏅ত রিপোর্ট
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষিকা ববিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গত সপ্তাহের বৃহস্প🍃তিবার। সেই ঘটনায় অধ্যাপক তথা বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে এবিভিপি এবং মৃতার পরিবার। তাদের পক্ষ থেকে মাটিগাড়া থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এবিভিপির অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার গবেষিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু চলতি মাসে গবেষিকাকে তিনি জানান যে, বিয়ে করা সম্ভব নয়। তার পরেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে ববিতার। সেক্ষেত্রে ববিতাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যাল🍬য়ের সামনে অবস্থানে বসে অভিযুক্ত অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর লাহার অপসারণ বিভাগীয় তদন্ত ও গ্রেফতারের দাবি করেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভব্রত অধিকারী।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শিবমন্দিরের মাস্টারপাড়ায় নিজের ভাড়া ঘরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল গবেষিকা শিক্ষার্থী ববিতা দত্তের। অভিযোগ, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জড়িত এবং টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করার পাশাপাশি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ করেন শুভব্রত অধিকারী । গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্যপালকে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚঅভিযোগ জানানো হয়েছে। আগামী দিনে জাতীয় মহিলা কমিশনেও অভিযোগ♏ করা হবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের কড়া শাস্তির দাবি জানান মৃতের মা। তিনি বলেন, ‘তিনবার অভিযুক্ত আমাদের বাড়ি গিয়েছিল। তার কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল-মোড়ে এবিভিপি গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে। পরে বিশ্🔯ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এবিভিপির অভিযোগ ছিল, ববিতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ববিতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে অধ্যাপকের নাম রয়েছে।