এক সপ্তাহে দ্বিতীয় বার। ফের কলকাতা হাইকোর্টের চরম ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক। এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সরকারি𓆏 আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, উর্দি পরে ঘুরে বেড়ালেই পুলিশ হওয়া যায় না।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডে নয়া সূ♏ত্রের খোঁজে CBI, তলব এক পুলিশ অফিসারকে, তদജন্ত এবার কোন পথে?
পড়তে থাকুন - কসবা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, স💟ুশান্ত 'খুনের ছক' কষেছিল জেল ফেরতꦛ এক খুনের আসামি!
রাজারহাটে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনার তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ১২ জন মিলে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করেছিল। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের বির🍬ুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত ধর্তব্যযোগ্য কি না তা জানতে নিম্ন আদালতে আবেদন করে পুলিশ।
পুলিশের এ📖ই আবেদন ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে। যেখানে পুলিশ আদালত গ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতি চেয়ে সম෴য় নষ্ট করার মানে নেই। পুলিশ যদি ন্যূনতম আইনটুকু না জানে তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে সুবিচার পাবে?’ এর পরই সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কী মনে হয়, এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? ফৌজদারি মামলার তদন্ত কী ভাবে করতে হয় এরা জানে? পুলিশ কমিশনের জানা দরকার তাঁর বাহিনীর জ্ঞানগম্যি কতটা। উর্দি পরে ঘুরে বেড়ালেই পুলিশ হওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন - ‘হিন্দুরা সংখ্যায় কম হলে কী হতে পারে তার বেলডাঙা তার প্রকৃষ্ঠ উদ💝াহরণ’
বিচারপতি সতর্ক করে বলেন, ‘এই মামলায় অভিযোগের ভি🃏ত্তিতে যে রকম ভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার সের✅কম তদন্ত করতে হবে। শেষ সুযোগ দিচ্ছি পুলিশকে। এর পর যদি কোনও গরমিল ধরা পড়ে তাহলে পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করব। নিউ টাউন আর রাজারহাট থানায় একই সমস্যা।’
বলে রাখি, ﷽গত সপ꧒্তাহে একই ধরণের একটি মামলায় নিউটাউন থানার আইসি প্রসাদ রায়কে তুমুল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।