২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে কি বড় ইস্যু হতে চলেছে রায়গঞ্জের এইমস। স্থানীয় সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পালের বক্তব্যে উঠছে সেই প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্য প্রস্তাব পাঠালে রায়গঞ্জে এইমস তৈরি করতে তৈরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পালটা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, আগে এইমস তৈরির জন্য উৎসাহপত্র পাঠাক কেন্দ্র। তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যা করার করবে। ওদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি - তৃণমূলের দড়ি টানাটানির খেলায় আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহযোগিতার কারণে রাজ্যের প্রথম এইমস হাসপাতাল কল্যাণীতে তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রায়গঞ্জবাসী। রায়গঞ্জে এইমস তৈরির দাবিতে বারবার সরব হচ্ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, স্থানীয় মানুষের দাবির কথা জানিয়ে আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডাজিকে চিঠি লিখেছিলাম। তিনি জবাবে আমাকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় এইমস তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও আবেদন জানায়নি। রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলেই কেন্দ্র রায়গঞ্জে এইমস তৈরি করতে প্রস্তুত।কার্তিকবাবুর মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে উৎসাহপত্র পাঠাক। তার পর রাজ্য জমির ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। ওদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, বিজেপি আর তৃণমূলের দড়ি টানাটানিতে উত্তর দিনাজপুর তথা গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আসলে এদের কারও এইমস তৈরির কোনও ইচ্ছা নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা এসব বলছে।রায়গঞ্জের জন্য এইমস হাসপাতালের ছাড়পত্র আদায় করে এনেছিলেন সেখানর প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। সেই এইমস রায়গঞ্জ থেকে ছিনিয়ে দক্ষিণবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি উত্তরবঙ্গের মানুষের। রায়গঞ্জে এইমস তৈরির জন্য সম্প্রতি রাজ্যসভায় সরব হন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।