নানা টানাপোড়নের পর অবশেষে এ বছর পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে খুশির হওয়া শান্তিনিকেতনবাসী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই মেলার জন্য প্লট বুকিং শুরু করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, বুকিংয়ের শুরুতেই উঠে আসছে বিস্তর অভিযোগ। সেক্ষেত্রে এবার প্লট বুকিংয়ের টাকা চার গুণ বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই নিয়ে শনিবার প্লট বুকিং⛄য়ের প্রথম দিনেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও ফি বাড়ানোর কথা অস্বীকার করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: জট কাটল শান্তি꧅নিকেতনের পৌষ মে🍎লার দিনক্ষণ নিয়ে, বৈঠকেই আবার 'চিড়' ধরল তৃণমূলে?
এবার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলার দায়িত্বে থাকছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বীরভূম জেলা পরিষদ এই দায়িত্বে থাকছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে যেখানে প্লট বুকিংয়ের দর ছিল ২৫ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০ টাকা। অর্থাৎ চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি হস্তশিল্প এবং রেস্তোরাঁর জন্য কোনও রেট চার্টও করা হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা কাজল শেখ জানিয়েছেন, এ বছর ফি বাড়ানো হয়নি। আগের মতোই👍 রয়েছে ফি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের কথাও তিনি অস্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার সঙ্গে শান্তিনিকেতনবাসীর আবেগ জড়িত। পূর্বপল্লির মাঠে শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর থেকে তিন বছর ধরে এই মাঠ🐭ে পৌষমেলা বন্ধ থেকেছে। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য সেখানে পৌষমেলা হয়নি। ২০২১ এবং ২০২২ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপত্তিতে সেই মাঠে পৌষমেলা করা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রথমে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করার কথা জানালেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে সেখানে পৌষমেলা হবে না বলেই প্রথমে তারা জানিয়েছিল। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবার পূর্বপল্লীর মাঠে তিন বছর পর পৌষমেলা ফিরে আসে।