চাষের কাজে সহায়তার জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ন্যূনতম চাষযোগ্য জমি থাকলেই তিনি বছরে দুদফায় চার হাজার টাকা ও ১ একর বা তার থেকে বেশি চাষযোগ্য জমি থাকলে বছরে দুদফায় ১০ হাজার টাকা উপভোক্তাদের দেওয়া হয়। এদিকে সেই প্রকল্পেই এবার অনিয়মের বড়সর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলায় এই অনিয়ম ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ কৃষক জমির পরচা দেখিয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। অন্যদিকে উপভোক্তাদের একাংশ আবার তাঁর পরিবারের মধ্যে ফের ওই একই জমি দেখিয়ে সরকারি অনুদান আদায়ের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এক্ষেত্রে উপভোক্তাদের একাংশ দানপত্র করে ওই জমিটিকে তাঁর সন্তানকে দিয়ে দিয়েছেন। এদিকে এবার সেই সন্তানও ওই একই জমি দেখিয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। অভিযোগ এমনটাই। অর্থাৎ অভিযোগ উঠেছে একই জমি থেকেই বাবা ও ছেলে উভয়ই সরকারি অনুদানের সুবিধা পাচ্ছেন। এদিকে একবার কেউ কৃষকবন্ধু প্রকল্পের উপভোক্তা হলে তিনি বছরের পর বছর ধরে তার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতিবছর তাঁর নাম নবীকরণের প্রয়োজন নেই। অভিযোগ সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন ভুয়ো কৃষকদের একাংশ। এদিকে কৃষি দফতরের কাছে সাধারণত জমির আপ টু ডেট রেকর্ড থাকে না। সেকারণে জমিটি দানপত্র করে অন্য়ের হাতে চলে গিয়েছে কিনা সেব্যাপারে বিশেষ বোঝা যায় না। তবে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,' ভুয়ো উপভোক্তাদের বাছাই করা দরকার। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শীঘ্রই গ্রহণ করা হবে।' পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘জমির মাপের উপর কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকার অঙ্ক ধার্য করা হয়। জমির মালিক যদি জমির কিছুটা অংশ নিজের নামে রাখেন তবে তিনি সেই অনুপাতে টাকা পাবেন। কিন্তু পুরো জমিই দান করে দিলে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য থাকবেন না।’