আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের পাড়সিডি গ্রামের ঝাড়খণ্ড সীমানায় একটি দলছুট বন্য হাতির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছন ঝাড়খণ্ডের বন বিভাগের কর্মীরা এবং ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার পুলিশ। মৃত হাতিটি ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার বনাঞ্চলের ত্রাস গুর্জর সিং বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ভয়াল দর্শন ও🍒 আক্রমণাত্মক মেজাজের জন্য এই নামকরণ করা হয় হাতিটির। বলিউড সিনেমা ‘মেলা’র খলনায়কের চরিত্র অবলম্বনে তার নাম দেওয়া হয়েছিল। সেই গুর্জর সিংয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া দুই বাংলার বনকর্মী এবং জঙ্গল এলাকার মানুষদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ দুপুরে সুবর্ণরেখা নদীর রাওকাল ঘাটে স্নান করতে গিয়ে পাড়সীডি গ্রামের কিছু লো✨ক দেখতে পায় হাতিটি মরে পড়ে আছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের পাড়সীডি গ্রাম–সহ ঝাড়খণ্ড সীমানার তিরুলডি থানার পইলং, সাপরুম, তিরুলডি গ্রামের আট থেকে আশি বহু মানুষ ভিড় জমান মৃত দলছুট বন্য হাতি দেখতে। এদিন গ্রামের মহিলারাও ওই দলছুট মৃত বন্য হাতির সামনে ধূপ জ্বালাতে ভির জমান। চাষের জমিতে পড়ে ছিল গুর্জর সিংয়ের দেহ। যা দেখে অনেকে প্রণামও করেন।
এদিকে কি কারণে ওই দলছ🐼ুট বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঝাড়খণ্ডের বন বিভাগের বন কর্মীরা এবং ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। তবে সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ঝাড়খণ্ডের এই এলাকায় তোলপাড় করছিল গুর্জর সিং। চাষের জমির ফসল নষ্ট করে এবং ঘরবাড়ি ভাঙে। কিন্তু সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েছিল। ১১০০০ ভোল্টের তার শরীর স্পর্শ করে। তখনই থেকেই সে শক্তি হারাতে থাকে। বিদ্যুতের ছোবল শরীরে নিয়ে আর টিকে থাকতে পারেনি। আজ, বৃহস্পতিবার নিথর হয়ে পড়ে সে। বনকর্মীরা তার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিড–ডে মিল চাল চꦇুরি করে ধরা পড়লেন প্রধানশিক্ষক, পড়ুয়াদের খাবার খেত পোষ্য!
আর কী জানা যাচ্ছে? এ🔯ই ঘটনায় অবশ্য 𝓀গ্রামের মানুষজনের মধ্যে শোক দেখা যায়। গজরাজের এমন মৃত্যু দেখে ধূপ দেখিয়ে প্রণাম করেন বিস্তর মানুষজন। এই বিষয়ে পুরুলিয়ার ডিএফও কার্তিকেয়ন এম বলেন, ‘হাতিটির মৃত্যু হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এই এলাকাটি করিডর বলে সে বাঘমুন্ডিতে আসত।’ এমন এক বিশাল চেহারার গজরাজ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা শোক করেছেন। আর ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বাঘমুন্ডির মানুষজন গুর্জর সিংয়ের নিথর দেহ দেখে চোখে জল ফেলেন। তাঁরা ধূপ জ্বালিয়ে গজরাজকে প্রণাম করেন।