দুর্নীতিতে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়ে রাজ্ജযের শহর থেকে গ্রামে যখন রাত জাগছে রাজপথ তখন শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা গেল দুর্নীতির এক মক্ষীরানিকে। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ কলেজে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানো অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু আদালতের নির্দেশে চুরি করে পাওয়া চাকরি হারানো অঙ্কিতা কলেজে ঢুকলেন কী করে? জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ওটা তো ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠান।
২০১৭ সালের শেষের দিকে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন অঙ্কিতা অধিকারী। 🐼তার কয়েক মাস আগেই তাঁর বাবা পরেশচন্দ্র অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্ল🌺ক ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এর পরই হঠাৎ দেখা যায়, একাদশ – দ্বাদশের মেধাতালিকায় সবার ওপরে অঙ্কিতার নাম। যদিও সেখানে আগে নাম ছিল ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ববিতা। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০২২ সালের ২০ মে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে ওই সময়ে বেতনবাবদ পাওয়া টাকা সুদ সমে🤡ত অঙಌ্কিতাকে ফেরাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই সময় অঙ্কিতার বাবা পরেশ অধিকারী ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে বেশ কিছুদিন প্রকাশ্যে 🌃দেখা যায়নি অঙ্কিতাকে। গত ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদানꦓ করেন তিনি। পান TMCPর জেলা সম্পাদকের পদ। এর পর বৃহস্পতিবার মেখলিগঞ্জ কলেজে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন তিনি। অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায় দুর্নীতিগ্রস্ত এই তৃণমূল নেত্রীকে।
এই ঘটনায় কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ মিঠু দেব বলেন, ওটা ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠান। সেখানে তারা কাকে আমন্ত্রণ জানাবে সেটা তাদের ব্যাপার। এই ব্যাপারে কꦅোনও মন্তব্য করেননি অঙ্কিতা অধিকারী।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে দলের তরফে লেখা হয়েছে, চোরের রাজ্যে এটাই স্বাভাবিক। এসএ🎶সসি দুর্নীতিতে চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা চোরের দলের জেলা সম্পাদিকা অঙ্কিতা অধিকারীকে যদি মেখলিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন তাতে অস্বাভাবিক কিছু না। কারণ বর্তমানে গোটা সরকারটাই চোর, দুষ্কৃতী অপরাধীরাই সরকার চালাচ্ছে। আর কিছু শিক্ষিত মানুষ তৈলমর🦩্দন করে চলছে। ছি-ছি-ছি করা ছাড়া সাধারণ মানুষের আর কী আছে।